বিমান সংস্থাগুলি মঙ্গলবার গতদিনের চেয়ে বেশি বিমান চালিয়েছে। রেল ও আন্তঃরাজ্য বাস চলাচল আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মধ্যরাত থেকে বিমান চলাচলে লক ডাউন ঘোষণা করবার পর, দেশের মানুষ এবার নিজেদের এলাকায় সম্পূর্ণতই আটকে পড়লেন।
বিমান চলাচলে এই নিষেধাজ্ঞা থাকবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। তবে পণ্যবাহী বিমান চলবে, চলবে হেলিকপ্টার, ইভ্যাকুয়েশনের জন্য প্রয়োজনীয় বিমান এবং ডিজিসিএ অনুমোদিত বিশেষ বিমানও।
মঙ্গলবারের পরের বিমানে যাঁদের টিকিট কাটা ছিল তাঁদের কী হবে?
বিমান সংস্থা এ ব্যাপারে এখনও কিছু জানায়নি। তবে সম্ভবত তাঁরা অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই পরবর্তী তারিখে ভ্রমণ করতে পারবেন বা কোনও কোনও ক্ষেত্রে টাকা ফেরত পাবেন।
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এরকম ঘটনায় ক্রেডিট হিসেবে পুরো টাকা রিফান্ড করা হয়, যে টাকা দিয়ে নির্দিষ্ট একটি সময়ের মধ্যে, যেমন এক বছরের মধ্যে টিকিট কাটতে হয়।
বিমানসংস্থাগুলির ক্ষেত্রে এর অর্থ কী?
সোমবার নির্ধারিত সূচির ৫০ শতাংশ অন্তর্দেশীয় বিমান চালিয়েছে বিমানসংস্থাগুলি। এই কাটছাঁটের ফলে তাদের ক্ষতি শুরু হয়ে গিয়েছে আগেই। কোনও কোনও বিমানসংস্থা বন্ধ করার কথাও ভাবতে শুরু করে দিয়েছিল, কারণ এ পরিস্থিতি চললে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তারা দেউলিয়া হত।
সরকারের এই নির্দেশের ফলে খালি বিমান উড়িয়ে নিয়ে যাবার জন্য যে ক্ষতি, তার হাত থেকে বাঁচবে তারা। কিন্তু এর পরে এয়ারপোর্ট, সহ অন্যদের সহযোগিতা তাদের প্রয়োজন হবে। তাদের বকেয়া টাকা তারা যাতে কিছু সময় দেরিতে দিতে পারে, সে ব্যাপারে সরকারের সহযোগিতার দিকে তাকিয়ে থাকবে তারা।