কোভিড ১৯ নিয়ে আয়ুষ মন্ত্রক থেকে একাধিক অ্যাডভাইজরি জারি করা হয়েছে। তাদের যে বিশাল উপদেশমালা তার মধ্যে রয়েছে শরবত উন্নাব ও তিরিয়ক আর্বার মত ইউনানি মিশ্রণ এবং আরসেমিকাম আলবাম ৩০-এর মত ওষুধ যা ডাক্তাক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অবশ্য সেব্য।
নভেল করোনাভাইরাসের কোনও বিজ্ঞানসম্মত প্রামাণ্য ওষুধের অভাবে বিকল্প ওষুধ কি সেবন করা যেতে পারে?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, "কিছু পশ্চিমা, ঐতিহ্যবাহী বা বাড়িতে তৈরি ওষুধ কোভিড ১৯-এর রোগীদের আরাম দিতে পারে বা উপসর্গ দূর করতে পারে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এমন কোনও প্রামাণ্য ওষুধ নেই, যার ফলে রোগ সারতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রস্তাব কেউ যেন কোভিড ১৯ সারানোর জন্য নিজে নিজে কোনও ওষুধ না খান, এমনকী অ্যান্টিবায়োটিকও নয়। তবে পশ্চিমা এবং ঐতিহ্যবাহী, দু ক্ষেত্রেই বেশ কিছু ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলছে।"
চিকিৎসকরা বিকল্প চিকিৎসকদের প্রস্তাবিত ওষুধ খাবার ব্যাপারে মানা করছেন, কারণ কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা মাথায় রেখে ওষুধ তৈরি করতে হয়।
হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের কথা স্বাস্থ্যমন্ত্রক বলেছে এবং তার কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণা চলছে- কিন্তু বহু বছর যাবৎ এর নিরাপদ দিকটি নথিভুক্ত রয়েছে। সোশাল মিডিয়ায় যে সব বিকল্প ওষুধের কথা বলা হয়েছে, সেগুলি সম্পর্কে এরকম কোনও তথ্যই উপলব্ধ নয়।
কোভিড ১৯ যে ভাইরাসের মাধ্যমে হয় তা নতুন এবং এর প্রকৃতি এখনও বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন।