কোভিড ১৯ সংকটের সময়ে যক্ষ্মা রোগের চিকিৎসা ও প্রতিষেধক নিয়ে কাজ চালাবার কথা জোর দিয়ে বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই পরিস্থিতিতে যেসব যক্ষ্মা রোগীরা বাদ পড়ে গিয়েছিলেন, তাঁদেরকেও কিভাবে চিহ্নিত করা যায়, তা আলোচিত হল।
খাবার থেকে কি করোনা সংক্রমণ হতে পারে?
কোভিড ১৯ অতিমারীর সময়ে যক্ষ্মা রোগীদের নিয়ে কী বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা?
যক্ষা ও কোভিড ১৯ শীর্ষক এক নোটে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে কোভিড ১৯ অতিমারীর সময়ে যক্ষ্মা প্রতিরোধের কাজ যেন না বন্ধ হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। সেখানে আরও বলা হয়েছে, যক্ষ্মা রোগীরা যাঁদের ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত বা দীর্ঘদিন শ্বাসকষ্টে ভুগছেন, তাঁদের করোনা সংক্রমণ হলে অসুস্থতা মারাত্মক হবে।
মুখ ঢাকা বাধ্যতামূলক, থুথু ফেলা নিষিদ্ধ- ভারতের নয়া বিধিসমূহ
ভারতের কেন এই বিবৃতি অনুসারে কাজ করা দরকার?
বিশ্বের মোট যক্ষ্মা রোগীর ২৭ শতাংশের বাস ভারতে এবং যক্ষ্মারোগীদের সংখ্যার দিক থেকে এ দেশ প্রথম আটে রয়েছে। ২০১৮ সালে ভারতে যক্ষ্মায় মারা যান ৪.৪ লক্ষ মানুষ, যা সে বছর সারা পৃথিবীতে যক্ষ্মায় মৃত ১.৫ মিলিয়নের ২৯ শতাংশ। ২০১৮ সালে সারা পৃথিবীতে ৭০ লক্ষ মানুষের যক্ষ্মায় আক্রান্ত হবার খবর পাওয়া গিয়েছে, যার মধ্যে ভারতে সংখ্যাটা ২৬ লক্ষ ৯০ হাজার। তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে ৫.৪০লক্ষ যক্ষ্মা রোগীর হদিশ মেলেনি।
এই মহামারীর মধ্যে হু কীভাবে যক্ষ্মার মোকাবিলা করতে চায়?
সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, এঁদের স্বাস্থ্যের চেহারা একই রকম পাওয়া গেলেও বারবার পরীক্ষা করা প্রয়োজন।
করোনাভাইরাস: জলসংকটের দেশে হাত ধোয়া হবে কী করে?
যক্ষ্মা রোগীদের কি কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেশি?
চিকিৎসকেরা দাবি করেছেন যাঁদের যক্ষ্মা ও কোভিড ১৯ দুইই সংক্রমণই হয়েছে, তাঁদের চিকিৎসার সুযোগ কম, বিশেষ করে যক্ষ্মার চিকিৎসায় যদি ছেদ পড়ে থাকে। বরিষ্ঠ এক চিকিৎসকের মতে যক্ষ্মাক্রান্তের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই কম।
এই অতিমারী কি হারিয়ে যাওয়া ৫.৪০ লক্ষ যক্ষা রোগীকে খুঁজে বার করার ব্যাপারে সহায়ক হতে পারে?
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা তেমনটাই মনে করছেন। তাঁদের দাবি করোনাভাইরাস ভীতির কারণে তাঁরা এবার নিজেরাই টেস্টের জন্য এগিয়ে আসবেন। মনে রাখতে হবে দুই রোগেরই লক্ষণ একই রকম, জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট। ডাক্তারি পরীক্ষায় তাঁদের যক্ষা সংক্রমণ ধরা পড়বে। যক্ষ্মা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডক্টর এম বি বালি বলেছেন, সাম্প্রতিক পরিস্থিতি লুকিয়ে থাক যক্ষ্মাকেও নির্ণয় করতে পারে, যেখানে রোগ আছে কিন্তু উপসর্গ নেই। হু বলছে এরকম যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা ২৫ শতাংশ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন