ভারতে প্রথম তিনটি করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে ২৯ জানুয়ারি। পরবর্তী এক মাসে আর একটিও সংক্রমণ ধরা পড়েনি। নতুন ঘটনাপ্রবাহ ঘটতে শুরু করে মার্চের প্রথম সপ্তাহে এবং পরবর্তী দু সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সংক্রমণ ধরা পড়ছিল খুব সামান্য। মনে রাখতে হবে সে সময়ে সারা বিশ্বে প্রতিদিন হাজার হাজার সংক্রমণের মোকাবিলা হচ্ছে।
গত কয়েকদিনে ভারতে এই সংখ্যাটা ব্যাপক পরিমাণে বেড়েছে এবং সংক্রামক রোগ ছড়ানোর চিহ্ন হিসেবে যা স্বীকৃত, পরিভাষায় যাকে বলে এক্সপোনেনশিয়াল কার্ভ, তা দেখা গিয়েছে।
করোনা সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে সাতটি রাজ্য। মহারাষ্ট্রে ১১০৮, তামিলনাড়ুতে ৬৯০ এবং দিল্লিতে ৫৬৭
কেরালার প্রথম তিনটি সংক্রমণের ঘটনার কথা যদি আমরা না ধরি, তাহলে ২ মার্চ থেকে নতুন ১০০ সংক্রমণ ধরা পড়তে সময় লেগেছে ১৩ দিন। তার পরের ১৪ দিনে ১০০০ ঘটনা ঘটেছে। ৭ এপ্রিলের মধ্যে বা আরও ৯ দিনে সংখ্যাটা ৫০০০ ছাড়িয়েছে এবং এই হারে সংক্রমণ চললে এক সপ্তাহে এ সংখ্যা ১০ হাজার ছোঁবে।
৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের মোট মৃত্যুর এক তৃতীয়াংশ ঘটেছে মহারাষ্ট্রে
এই বৃদ্ধি এক এক রাজ্যে এক এক রকম। মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, দিল্লি, তামিলনাড়ু, এবং উত্তরপ্রদেশে বৃদ্ধির হার এক্সপোনেনশিয়াল, অন্য বহু রাজ্যে এর গতি একরৈখিক।
অন্যান্য রাজ্যে মৃত্যুর খতিয়ান
এখানে, এই ছকে জাতীয় পর্যায়ে দৈনন্দিন বৃদ্ধির হিসেব দেখানো হয়েছে, দেখানো হয়েছে রাজ্যওয়ারি সংক্রমণও। বিভিন্ন রাজ্য থেকে আমাদের কাছে আসা হিসেবের ভিত্তিতে এই চার্ট তৈরি। ফলে সরকারি তথ্য বা অন্য যেসব তথ্য জনসমক্ষে পাওয়া যাচ্ছে, তার থেকে এটা কিছুটা আলাদা হতে পারে।
মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও তামিলনাড়ুতে সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি
তবে ধারাটা একেবারে আলাদা রকম নয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে মৃত্যুর কয়েকদিন পর টেস্টের রেজাল্ট এসে পৌঁছনোয় সে মৃত্যু কোভিড ১৯ জনিত বলে ধরা হয়েছে। সুবিধার জন্য আমরা মৃত্যু ঘোষণার দিনটিকে অন্তর্ভুক্ত করেছি।
তেলেঙ্গানায় ৩৯৩, রাজস্থানে ৩৪৩ ও কেরালায় ৩৩৬ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে
আরও কিছু অসংগতি আছে। যেমন পশ্চিমবঙ্গ সরকার দাবি করেছে কিছু মৃত্যু কোভিড ১৯-এ ঘটেছে বলা চলে না। একটি কমিটি সে বিষয়ে খতিয়ে দেখছে। আমাদের তালিকায় আমরা সে সব মৃত্যুকেই কোভিড ১৯-এর জন্য বলে দেখিয়েছি।
৭ এপ্রিল পাঞ্জাব ও পশ্চিমবঙ্গে ৯৯ জনের ও জম্মু কাশ্মীরে ১২৫ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে
একজন সংক্রমিত ব্যক্তি কতজনের মধ্যে সংক্রমণ ঘটাতে পারেন সেই গ্রাফটি আইআইআইটি দিল্লির গবেষকদের হিসেব মত তৈরি।
হরিয়ানায় ১২৯, গুজরাটে ১৭৬ ও কর্নাটকে ১৭৫ জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে
উত্তর প্রদেশে ৩৩২ জন, অন্ধ্রপ্রদেশে ৩০৪জন এবং মধ্যপ্রদেশে ২৯০ জন সংক্রমিত
আসাম, উত্তরাখণ্ড ও বিহারে কোভিড ১৯-এ আক্রান্তের সংখ্যা ৫০-এর কম
তথ্য সহায়তা- করিশমা মেহরোত্রা, গ্রাফিক্স- মিঠুন চক্রবর্তী ও রীতেশ কুমার