গত কয়েক সপ্তাহে বেশ কয়েকজন কোভিড ১৯ রোগীর খবর পাওয়া গিয়েছে যাঁরা সেরে ওঠবার পর ফের সংক্রমিত হয়েছেন। নভেল করোনাভাইরাসের নির্দিষ্ট প্রকৃতি একনও অজ্ঞাত, ফলে এর প্রতিরোধের বিষয়টিও সম্পূর্ণ জানাবোঝা যায়নি।
যেমন, উদাহরণ হিসেবে, আগের করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের বিষয়টি সংগতিবিহীন ছিল- মার্সের জন্য দায়ী করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রোগী অল্প সময়ের মধ্যে ফের সংক্রমিত হয়েছেন, এমন ঘটনা প্রায় নেই- কিন্তু সার্সের প্রকোপের সময়ে ফের সংক্রমণের ঘটনা দেখা গিয়েছে।
তাত্ত্বিকভাবে দেখলে, কোভিড ১৯ ফের আক্রমণ করবার অনেক কারণ থাকতে পারে। এই রোগের জন্য দায়ী সার্স কোভ ২ ভাইরাস অন্য যে কোনও ফ্লুয়ের ভাইরাসের মতই। ফলে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে সবসময়েই মিউটেশনের আশঙ্কা থাকছে। মিউটেশন হয়ে গেলে ফের যে কেউ কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হতে পারেন।
যেসব রোগীরা কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত, তাঁদের শরীরে অ্যান্টিবডির সুরক্ষা তৈরি হয়। যদি কারও শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, তাহলেও ফের আক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। এই পর্যায়ে ভাইরাল সংক্রমণের বিরুদ্দে অ্যান্টিবডি কীভাবে কাজ করে তা এখনও বোঝা যায়নি।
এ ছাড়াও প্রতিষেধক নেই বলে রোগীর শরীরের প্রতিরোধ কতদূর স্থায়ী তাও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। আরেকটা কারণেও ফের রোগ দেখা দিতে পারে - তাহল যখন প্রতিরোধ ক্ষমতা চলে যায়, যদি রোগীরা তেমন ওষুধ খেতে থাকেন।
বিশেষজ্ঞরা দেখাচ্ছেন কোভিড ১৯ নির্ণয় করবার জন্য যে RNA পরীক্ষা হচ্ছে, তা সবসময়ে ঠিক হচ্ছে না। স্পেনে আমদানি কার RNA টেস্ট কিট ভুল ফল দিয়েছে বলে খবর।