কোভিড-১৯ কীভাবে বদলে দিতে পারে বয়স্কদের খাদ্যাভ্যাস

প্রতি চারজনের মধ্যে একজন বলেছেন তাঁরা একা একাই খাবার খান, এবং এ ঘটনা সোশাল ডিস্ট্যান্সিং নিয়ম শুরু হওয়ার আগেই।

প্রতি চারজনের মধ্যে একজন বলেছেন তাঁরা একা একাই খাবার খান, এবং এ ঘটনা সোশাল ডিস্ট্যান্সিং নিয়ম শুরু হওয়ার আগেই।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Covid 19 food habit

অর্ধেকের বেশি বয়স্ক মানুষরা সপ্তাহে ৬ থেকে সাতদিন রাতের খাবার বানিয়ে নিতে সক্ষম হওয়ার কারণে তাঁরা অতিমারীর চূড়ান্ত সময়ে তেমন সমস্যায় পড়েননি বলেই মনে করা হচ্ছে

মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখানো হয়েছে কোভিড-১৯ কীভাবে বয়স্ক মানুষদের খাদ্যাভ্যাসে বদল ঘটাতে পারে। এই গবেষণা করা হয়েছে ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সীদের আমেরিকানদের ভোটের উপর ভিত্তি করে। ভোট নেওয়া হয় রোগের প্রাদুর্ভাবের পরে, বিশ্ববিদ্যালয় এখন তার রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এতে দেখানো হয়েছে বয়স্ক মানুষদের খাদ্যাভ্যাসের উপর এই অতিমারী কীভাবে প্রভাব ফেলতে পারে।

Advertisment

জাতীয় এই ভোটে দেখা গিয়েছিল কোভিড ১৯ আমেরিকায় হানা দেওয়ার ঠিক আগে আগে ৫০ ও তার বেশি বয়সী আমেরিকান নাগরিকরা বাড়িতে খাবার বানিয়ে নিতে সক্ষম। অর্ধেকের বেশি বয়স্ক মানুষরা সপ্তাহে ৬ থেকে সাতদিন রাতের খাবার বানিয়ে নিতে সক্ষম হওয়ার কারণে তাঁরা অতিমারীর চূড়ান্ত সময়ে তেমন সমস্যায় পড়েননি বলেই মনে করা হচ্ছে।

তবে এই ভোটে এও ইঙ্গিত মিলেছে যে এই বয়স্ক জনগণের মাত্র ৫ শতাংশ অতিমারীর আগে মুদির জিনিস অনলাইনে অর্ডার করতে পারতেন। এর ফলে কোভিড ১৯ সংক্রমণের থেকে তাঁদের এড়ানোর জন্য মুদির কেনাকাটায় তাঁদের অতিরিক্ত সহায়তার প্রয়োজন হবে।

এই ভোটে দেখা গিয়েছে কীভাবে অনেক বয়স্ক নাগরিকরাই সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। প্রতি চারজনের মধ্যে একজন বলেছেন তাঁরা একা একাই খাবার খান, এবং এ ঘটনা সোশাল ডিস্ট্যান্সিং নিয়ম শুরু হওয়ার আগেই। একা রাতের খাবার খাওয়া কম স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়, বিশেষ করে যাঁরা কখনও একা খাননি বা তেমন ঘটনা দুর্লভ। এ ছাড়া ১১ শতাংশ বয়স্ক নাগরিক সপ্তাহে তিনবার বা তার বেশি ফাস্ট ফুড খেয়ে থাকেন। এঁদের সব মিলিয়ে খাদ্যাভ্যাসতে স্বাস্থ্যকর বলা চলে না।

Advertisment

স্বাস্থ্যবান অবস্থায় বার্ধক্য নিয়ে জাতীয় স্তরে এই ভোট গ্রহণ হয়েছিল। এতে ৫০ থেকে ৮০ বছর বয়সী ২০০০ নাগরিকের তথ্য নমুনা হিসেবে সংগ্রহ করা হয়। মিশগান স্কুল অফ পাবলিক হেলথের জুলিয়া উলফসন এক বিবৃতিতে বলেছেন, সংক্রমণ এড়াতে যে গাইডলাইন জারি থাকবে তাতে অনেক বয়স্ক মানুষের, বিশেষ করে যাঁরা অসুস্থ, তাঁদের খাবার কেনার অভ্যাস বদলাবে, ফলে তাঁদের আরও সহযোগিতা প্রয়োজন হবে।

রেস্তোরাঁ অস্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে যাঁরা এই পোলে অংশ নিয়েছিলেন, তাঁদের অর্ধেকেই অসুবিধার মুখে পড়বেন, যাঁরা বলেছিলেন তাঁরা সপ্তাহে একদিন বাইরের খেতে যান। পুষ্টিবিজ্ঞানের অধ্যাপক সিন্ডি লিয়ুং এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, রেস্তোরাঁগুলি স্বাস্থ্যকর খাবার সরবরাহের মাধ্যমে এবং মেনুতে স্বাস্থ্যকর খাবার রেখে এ ব্যাপারে সহায়তা করতে পারে।

সূত্র- ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান

COVID-19