Advertisment

করোনার কারণে যেসব অপারেশন মুলতুবি রয়েছে, তার কী হবে?

যদি পুরোপুরি ক্ষমতা অনুসারে কাজ শুরু না করা যায়, তাহলে বকেয়া সার্জারি সম্পন্ন করতে ১৬ মাস সময় লাগতে পারে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Surgery Backlog covid 19

প্রতীকী ছবি

করোনা অতিমারীর জন্য সারা পৃথিবীতে অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন সমস্ত সার্জারি আটকে রয়েছে। আমেরিকায় জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এক নতুন গবেষণায় দেখিয়েছেন, সাত থেকে ষোল মাস পর্যন্ত সময় লাগবে বকেয়া অর্থোপেডিক সার্জারির কাজ শেষ করতে। এর মধ্যে লক্ষ লক্ষ মেরুদণ্ড, হাঁটু ও হিপ রিপ্লেসমেন্ট সার্জারি রয়েছে।

Advertisment

গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে জার্নাল অফ বোন অ্যান্ড জয়েন্ট সার্জারি-তে। মূল লেখক ডক্টর অমিত জৈন জানিয়েছেন, অর্থোপেডিক সার্জারির মত ক্ষেত্রে, যেখানে ইনপেশেন্ট ব্যবস্থার সুবিধা প্রয়োজন, সেখানে বকেয়া কাজ নিষ্পন্ন করার কাজ আউটপেশেন্ট ব্যবস্থা প্রয়োজনীয় সার্জারির চেয়ে ধীর গতিতে হবে। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “যতক্ষণ না পর্যন্ত আমরা ১০০ শতাংশ ক্ষমতা অনুসারে কাজ করছি, ততদিন ব্যাকলগ বাড়তে থাকবে।”

হাসপাতালের জাতীয় ইন পেশেন্ট ডেটাবেস ব্যবহার করে ডক্টর জৈন ও তাঁর সতীর্থরা আমেরিকায় বর্তমান ও সম্ভাব্য স্পাইনাল ফিউসন, হিপ ও নী রিপ্লেসমেন্টের সংখ্যার একটি মডেল তৈরি করেছেন। যদি খুব বেশি আশা করা যায় তাহলে ইলেকটিভ সার্জারি জুনের আগে পুরোপুরি শুরু হবে না, এবং সেক্ষেত্রে বকেয়া অপারেশন সম্পূর্ণ করতে সাত মাসের মত সময় লাগবে।

যদি পুরোপুরি ক্ষমতা অনুসারে কাজ শুরু না করা যায়, তাহলে বকেয়া সার্জারি সম্পন্ন করতে ১৬ মাস সময় লাগতে পারে।

এই বকেয়া কাজ নিষ্পন্ন করা সহজতর করতে জৈন কৌশল হিসেবে কিছু প্রস্তাব রেখেছেন, এর মধ্যে সার্জিকাল থ্রুপুট বৃদ্ধি ও টেলিমেডিসিনের ব্যবহার বাড়ানোর মত উপায়ের কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি অর্থোপেডিক সার্জারির জন্য অপারেটিং রুমের টাইমস্লট বাড়ানোর কথাও প্রস্তাবে বলেছেন।

সূত্র- জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়

COVID-19
Advertisment