লকডাউনের সময়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে দোকানে যাওয়ার অনুমতি রয়েছে বটে, তবে মুদির জিনিসপত্র কিনতে যাবার মধ্যেও কিন্তু কিছুটা হলেও ঝুঁকি রয়েছে। এই ঝুঁকির পরিমাণ নির্ভর করছে আপনি কতটা সাবধানতা অবলম্বন করছেন এবং দোকানে কতটা নিরাপদ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তার উপরে।
সাধারণ সাবধানতা অন্য সব জায়গার মতই দোকানেও প্রযোজ্য। অন্য ক্রেতাদের থেকে অন্তত এক মিটার বা ৬ ফিটের নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুনষ মুখাবরণ পরতেই হবে, যাতে মুখ ও নাক ঢাকা থাকে। এই নতুন সুপারিশ এখন সারা বিশ্বে জারি। তবে দস্তানা পরবার ব্যাপারে কোনো সুপারিশ নেই।
আরও পড়ুন, ট্রাম্প হঠাৎ লকডাউনবিরোধীদের সমর্থনের রাস্তায় কেন
অনেক দোকানেই হ্যান্ড স্যানিটাইজর দেওয়া হচ্ছে বটে, কিন্তু নিজের স্যানিটাইজর সঙ্গে রাখাই ভাল। দোকান ছাড়ার সময়ে স্যানিটাইজর ব্যবহার করুন এবং অবশ্যই ফিরে এসে হাত ঝুয়ে নিন। কেনা জিনিস খোলবার পর ফের হাত ধুয়ে নিন। হাত ধোবার ব্যাপারে একই রকম পদ্ধতি প্রতিবারেই অবলম্বন করতে হবে- সাবান ও জল বা ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজর দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুতে হবে।
যে কোনও সারফেসে করোনাভাইরাস ৭২ ঘণ্টা বাঁচতে পারে, সেক্ষেত্রে আপনার কেনা জিনিসপত্র কতটা নিরাপদ! আপনি যদি সেগুলো ৭২ ঘণ্টা পরে ব্যবহার করেন, তাহলে ভাইরাস থাকবার কথা নয়। তার আগে ব্যবহার করতে হলে জীবাণুনাশক দিয়ে ধুয়ে বা মুছে নেওয়াই ভাল। কেনা জিনিস যদি সিলড হয়, তাহলে সেগুলি নিরাপদ হবার সম্ভাবনাই বেশি। খাবার খেয়ে কেই অসুস্থ হচ্ছেন, এমন কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি। একটা নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রান্না করলে ভাইরাস মরে যায়। সবজি ও ফল জল দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে।
আরও পড়ুন, করোনাক্রান্তের সংখ্যার দ্বিগুণ বৃদ্ধি, ভারতে ও অন্যত্র
কিছু বিশেষজ্ঞ বলেছেন বেশিবার দোকানে না যাওয়াই ভাল। তার মানে একটু দীর্ঘ সময় চলবে এমনভাবে জিনিসপত্র কেনাই শ্রেয়, তবে মনে রাখতে হবে আপনি যেন অতিরিক্ত মজুতদারির অংশ না হয়ে পড়েন। দোকানে একা যাওয়াই ভাল, বাচ্চারা সঙ্গে থাকলে, দরকার নেই এমন জিনিসেও দোকানে গিয়ে হাত দিতে পারে।
আরেকটা জিনিস মনে রাখতে হবে যে ভাইরাস মূলত ছড়ায় সংক্রমিত ব্যক্তি হাঁচি বা কাশি থেকে ছড়ানো ড্রপলেটের মাধ্যমে। যদিও ভাইরাস অনেক সারফেসে বেঁচে থাকতে পারে এবং অন্যেরা সেই সারফেস স্পর্শ করবার মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারেন, সংক্রমণের এই পদ্ধতি কিন্তু ড্রপলেটের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়াবার চেয়ে অনেকটাই কম।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন