করোনা ভাইরাস যতবার নতুন করে দাপট দেখিয়েছে ততবারই সামনে এসেছে পুন:সংক্রমণ বা রিইনফেকশন তথ্য। কিন্তু এক বছরের করোনা হানায় এই পুন:সংক্রমণ হয়েছে খুব কম সংখ্যকের। কেবল ভারতে নয় কোভিড হানায় ক্ষতিগ্রস্ত বিশ্বের নিরিখেও এ তথ্য সত্য।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এমন ব্যক্তিদের দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, কিন্তু তাছাড়া দেহে যেভাবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয় সকলের সেখানে পুন:সংক্রমণের সম্ভাবনা কম।
সম্প্রতি ল্যানসেট জার্নালে যে স্টাডি প্রকাশিত হয়েছে সেখানে দেখা গিয়েছে যে বর্তমানে এই রিইনফেকশনের প্রবণতা দেখা গিয়েছে ৬৫ বছর বয়সীদের মধ্যে। গত এক বছরে বিশ্বে ১১৭ মিলিয়ন করোনা কেস ধরা পড়েছে। মৃত্যু হয়েছে ২.৬ মিলিয়নের, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে এমনটাই জানান হয়েছে। যদিও এর আগে রিইনফেকশনের ক্ষেত্রে বয়সের এই সীমা ছিল না। কম বয়সিদের মধ্যেও পুন:সংক্রমণের খবর আসে। যদিও তা সংখ্যায় কম।
অল্পবয়সীদের ক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে পুন:সংক্রমণ হয়নি। ৬৫ বছরে উপরে যাদের বয়স, তাঁদের ক্ষেত্রে ৪৭ শতাংশ এই রিইনফেকশন আটকাতে সক্ষম হয়েছে। যদিও ছ'মাসের মধ্যে যদি পুন:সংক্রমণ না হয় তাহলে দ্বিতীয়বার করোনা হানা হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। গত বছর এটি নিশ্চিত হয়েছে যে একবার করোনা আক্রান্ত হলেও দ্বিতীয়বার সেই ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হতে পারে।
অন্যদিকে, করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠলেই যে আর কোভিড-১৯ ভাইরাস আক্রমণ করবে না এমনটা নয়। অন্তত সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি ঘটনা তা বলছে না। ৩৩ বছর বয়সি এক চিন নাগরিক একবার আক্রান্তের সাড়ে চার মাস বাদে আবারও আক্রান্ত হয়েছেন।
তবে এটা ঠিক সকলের ক্ষেত্রেই যে পুন:সংক্রমণ হবেই এমন কোনও কথা নেই। দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্ত হলেও তার দাপট কিন্তু শরীরে অনেকটাই কম হয়। কিন্তু ষাটোর্ধ্বদের ক্ষেত্রে চিন্তা বাড়াচ্ছে কো-মর্বিডিটি। ডায়াবেটিক, উচ্চরক্তচাপ, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থাকলে করোনা যদি আক্রমণ করে তাহলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রাণহানির আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
শারীরবিজ্ঞান মতে একটি বয়সের পর থেকে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে আসতে শুরু করে তাই কোভিডের দ্বিতীয় দাপটেও যে সুস্থ থাকবেন তা হয়ত নাও হতে পারে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন