গুরুতর অসুস্থ কোভিড ১৯ রোগীদের সঙ্গে দেখা করবার ব্যাপারে পৃথিবীর কোথাও কোনও সাধারণ নিয়ম নেই।
নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনে সম্প্রতি কোভিড ১৯ মহামারীর একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে, যেখানে গুরুতর অসুস্থদের পরিবারের সদস্যদের দেখা করতে দেবার বিষয়টিকে অনুমোদন না করতে বলা হয়েছে।
গর্ভস্থ শিশুও কোভিড ১৯ সংক্রমিত হতে পারে?
কেন কোভিড ১৯ রোগীদের সঙ্গে দেখা করা যাবে না?
এনইজেএম-এর প্রবন্ধে বলা হয়েছে, সাক্ষাৎপ্রার্থীদের কোভিড ১৯ রোগীদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া যাবে না, কারণ এর ফলে তাঁরা নিজেরাই অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। এমনকী যদি পরিবারের লোকেরা কনিজেরা আক্রান্ত নাও হন, তাহলেও কোভিড ১৯ ওয়ার্ডে তাঁদের উপস্থিতি এ সম্ভাবনা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।
এ ছাড়া, পিপিই-র জোগান সারা বিশ্বে কম থাকায় পরিবারের লোকজন পিপিই ব্যবহার করায় তা আরও কমবে।
গার্গল করলে গলা ব্যথা সারে, করোনা আটকায় না
একই সঙ্গে সাক্ষাৎপ্রার্থীদের বোঝানো, তাঁদের সাহায্য করা, ভিজিটরদের পিপিই পরতে এবং খুলতে সাহায্য করায় ইতিমধ্যেই চাপে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর চাপ আরও বাড়বে।
উপরোক্ত প্রবন্ধে বলা হয়েছে আইসোলেটেড রোগীদের সঙ্গে পরিবারের সোকজনের সাক্ষাৎ টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে হওয়া সম্ভব। বলা হয়েছে, একটি ট্যাবলেট কম্পিউটার রোগীর দিকে মুখ করে রাখা যেতে পারে, বা এমন কোনও পদ্ধতি নেওয়া যেতে পারে যার মাধ্যমে ভিডিও চ্যাটে বিষয়টি সম্পন্ন হতে পারে।
সেখানে আরও বলা হয়েছে, “মৃত্যুমুখে পতিত রোগীদের পরিবারের লোকজনকে কোনওভাবেই তাঁর হাত ধরতে বা জড়িয়ে ধরতে দেওয়া যাবে না, আমরা এমন কিছু সমাধান খুঁজতে পারি যার মাধ্যমে তাঁরা একই রকম সংযোগ অনুভব করতে পারেন, এবং সকলেই নিরাপদেও থাকেন।”
কোভিড ১৯ ও বায়ুদূষণের সম্পর্ক
ল্যান্সেটে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে বলা হয়েছে, “আইসিইউ পরিদর্শনের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়াবার ঝুঁকি থাকতে পারে এবং সংক্রমণ কমাতে এ ধরনের পরিদর্শন নিয়ন্ত্রিত বা নিষিদ্ধ করা যেতে পারে।” রোগী ও তাঁর পরিবারের মধ্যে যোগাযোগের জন্য ভিডিও কনফারেন্স পদ্ধতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
ভারতে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রক বলেছে সরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে পরিদর্শন নিয়ন্ত্রিত করতে হবে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, সাক্ষাৎপ্রার্থীকে যদি কোভিড ১৯ রোগীর ঘরে ঢুকতেই হয়, সেক্ষেত্রে তাঁদের হাত যথাযথভাবে সাফ রাখা ও পিপিই পরা এবং ছাড়ার ব্যাপারে যথাযথ নির্দেশ দিতে হবে।সবচেয়ে ভাল হয় এ ব্যাপারে কোনও স্বাস্থ্যকর্মী যদি তদারকি করেন।
নিউ ইয়র্ক প্রেসবাইটেরিয়ান হাসপাতালের ওযেবসাইটে বলা হয়েছে কোনও কোনও ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হলেও সাক্ষাৎকারীদের কেউ যদি অসুস্থ হন তা কাশির মত কোনও রোগলক্ষণ থেকে থাকে, তাহলে তাঁকে অনুমতি দেওয়া হবে না।
ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস কোনও সাক্ষাৎই ঘটতে দিচ্ছে না। তারা অবশ্য বলছে, গুরুতর অসুস্থ রোগী বা যাঁরা জীবনের শেষ পর্যায়ে রয়েছেন তাঁদের ক্ষেত্রে বিষয়টি সহানুভুতির সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন