গত কয়েকদিনে তামিলনাড়ুতে সংক্রমিতের সংখ্যা অতি দ্রুত গতিতে বাড়ছে। গত এক সপ্তাহে ২০৫৮ থেকে প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে এখন ৪০৫৮। রাজ্যে গত দুদিন ধরে সংক্রমণ সংখ্যা বাড়ছে ৫০০-র বেশি করে এবং একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা বৃদ্ধিতে তামিনলাড়ুর অবস্থান মহারাষ্ট্রের ঠিক পরেই।
পাঞ্জাব ও পশ্চিমবঙ্গের মত রাজ্যগুলিতে সংখ্যার হঠাৎ বৃদ্ধির নির্দিষ্ট কারণ থাকলেও তামিলনাড়ুতে এই সংখ্যাবৃদ্ধির স্পষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এতদিন তামিলনাড়ুতে সংক্রমণ সংখ্যাবৃদ্ধির হার যথেষ্ট কম ছিল। এর আগে এ রাজ্যে সংক্রমণ সংখ্যা দ্বিগুণ হতে সময় লেগেছিল ১৭ দিন।
মঙ্গলবার ভারতে নভেল করোনাভাইরাসের ২৯৪৯টি নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যার জেরে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ ছুঁতে চলেছে। মঙ্গলবার এই সংখ্যা দাঁড়া ৪৯৩৩৯-এ, এর মধ্যে ১২৭৫০ জন আরোগ্যলাভ করেছেন।
মাসের প্রথম পাঁচদিনে ভারতে ১৫ হাজার নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যা এপ্রিলে সংক্রমণ সংখ্যা কমিয়ে আসার যে ইতিবাচক দিক ধরা পড়ছিল, তাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।
এবং এই সংখ্যাবৃদ্ধির সঙ্গে ৪ মে থেকে শিথিল করা লকডাউনের সম্পর্ক নেই। এই প্রবণতা শিথিলতা প্রযুক্ত হওয়ার আগে থেকেই দেখা যাচ্ছিল, এবং শিথিলতার প্রভাব কী হবে তা সাত-দশ দিন না গেলে বোঝা যাবে না। এখন যে সংখ্যা বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে তাতে বোঝা যাচ্ছে লকডাউনের দ্বিতীয় পর্যায়, প্রথম পর্যায়ের মত কার্যকরী হয়নি।
মঙ্গলবার গুজরাটে সংক্রমিতের সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়েছে, দিল্লি ছাড়িয়েছে ৫০০০ এবং মধ্যপ্রদেশ ৩০০০। ঘটনাচক্রে গুজরাটে মঙ্গলবার ৪৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে, যা একদিনে মৃত্যুর হিসেবে ওই রাজ্যে সর্বোচ্চ। আমেদাবাদে মৃত্যু ঘটেছে ৩৯ জনের, যা কোনও একটি শহরে একদিনের মৃত্যু সংখ্যায় রেকর্ড। মহারাষ্ট্রে ৩৭ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে, এর মধ্যে মুম্বইতে একদিনে মারা গিয়েছেন ২৭ জন।
গুজরাটে মৃত্যুসংখ্যা ৩৫০ ছাড়ানোর পর রাজ্য দৈনিক বুলেটিনে মৃতদের বিস্তারিত বিবরণী দেওয়া বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে পর্যন্ত একমাত্র গুজরাটই মৃতদের বয়স, পূর্ববর্তী রোগ ইত্যাদি বিষয় বুলেটিনের অন্তর্ভুক্ত করছিল। এবার তারা তা বন্ধ করল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন