Advertisment

১৭ মিলিয়ন মানুষের উপর গবেষণা থেকে কোভিড সম্পর্কে কী জানা গেল?

এই রোগের ক্ষেত্রে শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় কৃষ্ণাঙ্গ ও দক্ষিণ এশিয়দের ঝুঁকি বেশি। এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ১৭ মিলিয়নের মধ্যে ১১ শতাংশ অশ্বেতাঙ্গ গোষ্ঠীভুক্ত।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Coronavirus Largest Study

গবেষকরা ১৭ মিলিয়নের বেশি প্রাপ্তবয়স্কের তথ্যের সঙ্গে এই রোগে মৃত ১০ হাজার জনের তথ্য মিলিয়ে দেখেছেন

বুধবার নেচার পত্রিকায় একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে, যাতে ইংল্যান্ডে ১৭ মিলিয়ন মানুষ (ইংল্যান্ডের জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ)-এর কোভিড-১৯ মৃত্যুর ক্লিনিক্যাল ঝুঁকির বিষয়টি বিবৃত হয়েছে। গবেষণায় দাবি করা হয়েছে আজ পর্যন্ত যে কোনও দেশে এত বড় কোহর্ট স্টাডি আর হয়নি।

Advertisment

কী বলা হয়েছে গবেষণায়?

এই গবেষণায় গবেষকরা ১৭ মিলিয়নের বেশি প্রাপ্তবয়স্কের তথ্যের সঙ্গে এই রোগে মৃত ১০ হাজার জনের তথ্য মিলিয়ে দেখেছেন। তাঁরা দেখেছেন এই মৃত্যুগুলির সঙ্গে পুরুষ হওয়া, বেশি বয়স, বঞ্চনা, ডায়াবেটিস, কঠিন অ্যাজমার মত বিষয় যুক্ত।

তাঁরা আরও বলেছেন এই রোগের ক্ষেত্রে শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় কৃষ্ণাঙ্গ ও দক্ষিণ এশিয়দের ঝুঁকি বেশি। এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ১৭ মিলিয়নের মধ্যে ১১ শতাংশ অশ্বেতাঙ্গ গোষ্ঠীভুক্ত।

আরও পড়ুন, তুর্কমেনিস্তান- যে দেশে একটিও করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েনি

গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি তাঁরা দেখেছেন তা হল, অধিক বয়স্কদের ঝুঁকি অতিরিক্ত, যাঁদের বয়স ৮০ বা তার বেশি তাঁদের ঝুঁকি ৫০-৫৯ বয়ঃগোষ্ঠীর চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। এঁদের মধ্যে যাঁদের হৃদযন্ত্রের সমস্যা, ডায়াবেটিস, শ্বাসজনিত রোগ, স্থূলতা, ক্যান্সার, কিডনি, লিভার, নিউরোলজিক্যাল বা অটোইমিউনিটির সমস্যা রয়েছে তাঁদের ঝুঁকি আরও বেশি।

তবে এই গবেষণার সীমাবদ্ধতা হল এই গবেষকরা কোভিড-১৯ এ সন্দেহভাজনদের, ল্যাবরেটরি কর্তৃক সংক্রমণের নিশ্চয়তা ব্যতিরেকেই গবেষণার অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এর ফলে কয়েকজন এমন থাকার সম্ভাবনা রয়েছে যাঁরা কোভিড-১৯ পজিটিভ নন।

গবেষণায় কী দেখা গিয়েছে?

বয়স্ক ও অন্যান্য রোগ বিশিষ্টরা এই রোগের ক্ষেত্রে যে অতিরিক্ত ঝুঁকি প্রবণ তা আগে থেকেই জানা। এই গবেষণায় সেই কথাটাই ফের একবার প্রমাণিত হয়েছে যা সারা বিশ্বের কোভিড-১৯ রোগীদের ক্ষেত্রে পর্যবেশণ করা যাচ্ছে।

ফলে এই গবেষণার ফলের প্রকৃতি ছাড়াও এর ব্যাপ্তির ফলে গবেষকরা আরও নিখুঁত ভাবে বিরল এক্সপোজার, একাধিক রিস্ক ফ্যাক্টর এবং গুরুত্বপূর্ণ সংকেতের দ্রুত সনাক্তিকরণ করতে পেরেছেন। রোগের ধরনের এই বৃহত্তর পরিসংখ্যান গবেষকদের কম জানা রিস্ক ফ্যাক্টরগুলি আরও ভালভাবে খতিয়ে দেখতে সাহায্য করেছে।

coronavirus
Advertisment