ফের করোনা ভয় দেখাচ্ছে। পাশের দেশ চিন ইতিমধ্যেই নতুন করে লকডাউনের পথে হাঁটতে বাধ্য হয়েছে। তবে, ভারতে এখনও করোনার দাপাদাপি কম। তবে, চিনে যখন ছড়িয়েছে বাকি বিশ্বও ফের নতুন করে করোনা ছড়াবে। এনিয়ে বিশেষজ্ঞদের কোনও সন্দেহ নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তো আগেই এই ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছিল। করোনা যখন প্রথমে ছড়াল, এই চিন থেকেই ছড়িয়েছিল। তখনও বোঝা যায়নি যে বাকি বিশ্বও এই ভাইরাসের সংক্রমণে পর্যুদস্ত হবে।
এবার, তাই আগে থেকেই সতর্ক প্রশাসন। অতীতের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আগে থেকেই ব্যবস্থা নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এজন্য জোর দেওয়া হচ্ছে ভ্যাকসিনেশনে। এখনও নাবালকদের অনেকে ভ্যাকসিন পায়নি। তার মধ্যে ১২-১৪ বছর বয়সিদের ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। বুধবার থেকেই ১২ ঊর্ধ্বরা ভ্যাকসিন পাবে।
হায়দরাবাদের সংস্থা বায়োলজিক্যাল-ই। তাদের তৈরি কোরবেভ্যাক্স ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলেই জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। বর্তমানে ১৪ ঊর্ধ্বদের করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। বুধবার, ১৬ মার্চ থেকে যে ১২-ঊর্ধ্বরা করোনার ভ্যাকসিন পাবেন, তাঁদের জন্মসাল হতে হবে ন্যূনতম ২০০৮। গত ২১ ফেব্রুয়ারি কোরবেভ্যাক্সকে ছাড়পত্র দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
আরও পড়ুন- ভিন্ন সম্প্রদায়ের ধর্মস্থানে গেরুয়া রং, ব্যাপক উত্তেজনা মধ্যপ্রদেশে
এই ভ্যাকসিন প্রথাগত কায়দায় ভাইরাসকে ধ্বংস করে না। বরং, রোগীর শরীরে প্রবেশের পর তার ইমিউনিটি ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এই ভ্যাকসিনের মধ্যে আছে স্পাইক প্রোটিন। যা মোটেও ক্ষতিকর নয়। উলটে তা শরীরে প্রবেশের পর গ্রহীতার ইমিউনিটি বা অনাক্রম্যতা বাড়িয়ে তোলে।
বাড়িয়ে দেয় শ্বেতকণিকার সংখ্যা। এই শ্বেতকণিকা করোনা ভাইরাসকে সংক্রমণ ছড়াতে বাধা দেয়। এভাবেই কমবয়সিদের মধ্যে কাজ করবে কোরবেভ্যাক্স ভ্যাকসিন। যার অ্যান্টিজেন তৈরি হয়েছে টেক্সাসের চিলড্রেন হাসপাতাল সেন্টারে। যাকে সাহায্য করেছে বেলর কলেজ অফ মেডিসিন। এটুকু বাদে এই ভ্যাকসিন সম্পূর্ণরূপে দেশেই তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার হায়দরাবাদের সংস্থাটির থেকে বিপুল পরিমাণ কোরবেভ্যাক্স ভ্যাকসিন আমদানি করেছে। ১২ ঊর্ধ্বদের টিকা দেওয়ার জন্য ওই ভ্যাকসিন কেনা হয়েছে।
Read story in English