Advertisment

রাশিয়ার ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়াল শেষ, রিপোর্ট নিয়ে চিন্তিত বিশ্ব!

শনিবার রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে যে এবার এই ভ্যাকসিনের কেবলমাত্র পেপারওয়ার্ক এবং রেজিস্ট্রেশন বাকি আছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ভারতের বাজার ধরতে উদ্যোগী বিশ্বের ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারকেরা

করোনার বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে অক্সফোর্ডকে টেক্কা দিয়ে ক্লিনিকাল ট্রায়াল শেষ করল রাশিয়ার গামালেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি করা এই টিকা। শনিবার রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে যে এবার এই ভ্যাকসিনের কেবলমাত্র পেপারওয়ার্ক এবং রেজিস্ট্রেশন বাকি আছে। রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে দেওয়া হয় এই ভ্যাকসিন প্রথমে দেওয়া হবে দেশের চিকিৎসক এবং শিক্ষকদের।

Advertisment

যদিও প্রকাশিত রিপোর্টে এটা বলা হয়নি যে এই ভ্যাকসিন তিনটিই পর্যায়েরই ক্লিনিকাল ট্রায়াল শেষ করেছে কি না। এর আগে রাশিয়ার সংবাদসংস্থা তাস নিউজ এজেন্সি জানায় যে এই ভ্যাকসিনের ফেজ থ্রি ট্রায়াল হবে না। প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই ভ্যাকসিন রেজিস্টারের তিন থেকে সাত দিন পর থেকেই ব্যবহার করা যাবে এই ভ্যাকসিন। প্রথমে অবশ্য বলা হচ্ছিল এই করোনা প্রতিরোধী ভ্যাকসিন যদি অগাস্টের ১২ তারিখ মুক্তি পাবে। কিন্তু রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে অক্টোবরের আগে এই ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে না। সংবাদসংস্থা ব্লুমবার্গ জানিয়েছে গামালেয়া ভ্যাকসিনের কাজ অগাস্টে শেষ হয়ে গেলে সেপ্টেম্বর থেকে এই ভ্যাকসিন উৎপাদনের কাজ শুরু হবে।

আরও পড়ুন, জুলাইমাসে অবিশ্বাস্যভাবে বৃদ্ধি পেল করোনা, নিয়ম না মানাই কি কারণ?

বিশেষজ্ঞদের মতে তৃতীয় ট্রায়ালের আগেই ভ্যাক্সিন প্রস্তুত করলে সেখানে ভুলত্রুটি থাকার সম্ভাবনা প্রবল। তদাএর বক্তব্য লড়াইয়ে এগিয়ে থাকার জন্য যেভাবে এই ভ্যাকসিনের কাজ হয়েছে সেখানে চিন্তা থাকছে। কীভাবে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল ছাড়াই এই ভ্যাকসিনকে বাজারে আনা হবে সে বিষয়ে প্রশ্নও তুলেছেন তাঁরা। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবকদের উপর প্রয়োগ করার কথা রয়েছে এই টিকার। যার জন্য কম করে কয়েক মাস কিংবা বছর লেগে যাবে। কিন্তু তা না করে কীভাবে সাত তাড়াতাড়ি ভ্যাকসিন বাজারে আনছে সেই বিষয়েই নানা মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

যদিও রাশিয়ার পক্ষ থেকে এর আগে প্রথম পর্যায়ে এই ভ্যাকসিনে মানবদেহে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। দ্বিতীয় ধাপে দেহে গড়ে উঠছে প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনটাই জানান হয়েছে। তাই মানুষের জন্য এই ভ্যাকসিন উপলব্ধ করার পাশাপাশি সেই সময় থেকেই চলবে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল। বিশ্বের গবেষক এবং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দাবি যে তড়িঘড়ি করে নয় সমস্ত সুরক্ষা নিয়েই সকলের জন্য উপলব্ধ করা হোক ভ্যাকসিন। সেক্ষেত্রে সময় নিয়েই লড়াই চলুক।

Read the story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Explained coronavirus
Advertisment