এখনও বিশ্বজুড়েই করোনার বাড়বাড়ন্ত অব্যাহত। এরই মাঝে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ের করোনা ভ্যাকসিন ট্রায়ালের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল পেনসেলভানিয়ার একটি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা। যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই ট্রায়াল করা হচ্ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। যার ফলে মানবদেহে এই ভ্যাকসিনে ক্লিনিকাল ট্রায়াল আপাতত পিছিয়ে গেল।
ইনভায়ো ফার্মাসিউটিক্যাল যে ভ্যাকসিন তৈরি করেছে তা ইতিমধ্যেই প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালের মধ্যে রয়েছে। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এফডিএ সংস্থাটির ভ্যাকসিনের ডিভাইস সম্পর্কে আরও তথ্য চেয়েছিল। কারণ এই ডিভাইস ত্বকের রোমকূপ খুলতে বৈদ্যুতিক পালস তৈরি করে। ২০১৬ সালে ক্যান্সার ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস কেন করোনা ভ্যাকসিন প্রস্তুতের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে তা নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়।
কী ধরণের করোনা ভ্যাকসিন তৈরি করছে এই সংস্থা?
নভেল করোনা ভাইরাসের ডিএনএ মানবদেহে প্রবেশ করিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে এই ভ্যাকসিন। এর আগে এ ধরণের ডিএনএ-বেসড ভ্যাকসিন কখনই তৈরি করা হয়নি। সংস্থার তরফে জানান হয়েছে অক্টোবর মাসেই তাঁরা এফডিএ-কে যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দেবেন। এরপর রেগুলেটরি বডি স্থির করবে পরবর্তী ট্রায়াল হবে কি না।
সংবাদসংস্থা ব্লুমবার্গ যেমন জানিয়েছে আরেক মার্কিন ভ্যাকসিন উৎপাদক সংস্থা ফাইজার অক্টোবরের মধ্যে করোনা ভ্যাকসিন আনার জন্য জরুরীকালীন আবেদন করতে পারে এফডিএ-এর কাছে। যদিও এ বিষয়ে বিজ্ঞানীদের সায় নেই। তাঁদের বক্তব্য প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে ভ্যাকসিন বাজারে আনা উচিত নয়। কমপক্ষে একমাস ভ্যাকসিন যাঁদের দেওয়া হয়েছে ক্লিনিকাল ট্রায়ালে তাঁদের পর্যবেক্ষণ করা উচিত। ব্লুমবার্গ বিজ্ঞানীদের উধহ্রিত করে জানিয়েছে, "ভ্যাকসিন এবং ভ্যাকসিন উৎপাদনের পিছনে যে বিজ্ঞান রয়েছে তার উপর জনগণের আস্থাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তাড়াহুড়ো করে এমন কনও কাজ করা উচিত নয় যা জনগণকে ক্ষুণ্ণ করবে।" প্রসঙ্গত, তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের প্রায় শেষ ধাপে রয়েছে ফাইজার। এরাই প্রথম সংস্থা যারা আমেরিকার বাজারে ভ্যাকসিন আনতে চলেছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন