কোভিড-১৯ লকডাউনের ফলে উন্নয়নশীল দেশের নিম্ন আয়ের কর্মীদের কাজ হারানোর আশঙ্কা বেশি বলে জানাচ্ছে নতুন এক গবেষণা। তার কারণ এঁদের পক্ষে দূর থেকে কাজ করা সম্ভব নয়। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন, ব্যাঙ্ক অফ থাইল্যান্ড, ইউনিভার্সিটি কার্লোস ৩ দে মাদ্রিদ এবং টোকিওর গ্রিপসের গবেষকদের এই গবেষণাপত্র কোভিড ইকনমিক্স- ভেটেড অ্যান্ড রিয়েল টাইম পেপার্সে প্রকাশিত হয়েছে।
এঁরা গবেষণা করেছেন থাইল্যান্ডকে ধরে। তবে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন বলেছে অন্যান্য যেসব দেশে শ্রমের বাজার কাঠামো একইরকম - বিশেষ করে যেখানে বড় অংশ স্বরোজগারি এবং সামাজিক সেফটি নেট কম, সেখানকার জন্যও এই গবেষণা প্রাসঙ্গিক।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের অর্থনীতিবিদ ডক্টর সুফানিট পিয়াপপ্রোমিদি এক বিবৃতিতে বলেছেন, "নিম্ন আয়ের কর্মীদের একটা বড় অংশ শারীরিক শ্রম করেন (থাইল্যান্ডে ১০ শতাংশ, ইইউ-২৭-এ ১১.৫ শতাংশ)। এর মধ্যে রয়েছে মেশিনের কাজ, বা নির্মাণকাজ যা দূর থেকে করা সম্ভব নয়, এবং তাঁদের কোনও রোজগার নেই। ফলে এই দরিদ্র মানুষদের জন্য সরকারের আর্থিক বা কাজের ব্যাপারে সহায়তা ছাড়া কোভিড-১৯ আয় বৈষম্যের কুপ্রভাব এঁদের উপর সবচেয়ে বেশি পড়বে।"
গবেষকরা দেখিয়েছেন, নিম্ন আয়ের কর্মীরা যেমন কৃষক বা নির্মাণকর্মী বা কারখানার শ্রমিকদের শারীরিক কাজ বেশি করতে হয়, যা অফিসকর্মী বা স্কুল শিক্ষকদের তত করতে হয় না। যেহেতু নিম্ন আয়ের কর্মীরা যন্ত্র নির্ভর কাজ করেন, তাঁদের কাজ তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর নয়, ফলে তাঁরা দূর থেকে কাজ করতে পারেন না। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিম্নআয়ের কর্মীদের সংসারে দম্পতিরা উভয়েই একই পেশায় নিযুক্ত এমন সংখ্যা বেশি (৬০ শতাংশ), যা উচ্চ আয়ের পেশায় অনেকটাই কম (২০ শতাংশ)।
সূত্র- ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন