১০ সেপ্টেম্বর ছিল কিংবদন্তি ক্রিকেটার রণজিতসিংজি-র জন্মদিন। ঊনবিংশ শতাব্দীর সেরা ব্যাটসম্যান বলে পরিচিত তিনি। ভারতে এবং বিদেশে তাঁর অনুগামীরা তাঁকে রণজি নামে চেনেন।
১৯৩৩ সালে মারা যান রণজি। তার পরের বছর, ১৯৩৪ সাল থেকে ভারতের ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) তাঁর নামে রণজি ট্রফি চালু করে। রণজিতসিংজি ছিলেন গুজরাটের রাজন্যশাসিত রাজ্য নওয়ানগরের শাসক। এ রাজ্যে বেশ কিছু প্রগতিশীল সংস্কার সাধন করেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন, রাষ্ট্র সংঘে যখন ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি
ক্রিকেট পরাক্রমী
১৮৯৩ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হবার পর, ইংল্যান্ডে প্রথম শ্রেণির কাউন্টি ক্রিকেট খেলেছিলেন রণজিতসিংজি। ১৯১২ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন সাসেক্স দলের খেলোয়াড়। এর মধ্যে ১৮৯৯ সাল থেকে শুরু করে ১৯০৩ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন এ দলের অধিনায়ক। ১৮৯৯ ও ১৯০০ সালে, পর পর দু বছর তিনি ৩০০০ করে রান করেছিলেন। ১৮৯৬ সাল থেকে ১৯০২ সালের মধ্যে ইংল্যান্ডের হয়ে ১৫টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। ক্রিকেটে 'লেগ গ্ল্যান্স' শট তাঁরই আবিষ্কার।
রণজিতসিংজির মৃত্যুর পর, ১৯৩৩ সালের ৩ এপ্রিল একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। তাতে বলা হয়েছিল, "নওয়ানগরের মহারাজ, রণজি হিসাবেই পরিচিত হয়ে থাকবেন মহামান্য কুমার শ্রী নামের এক ইংরেজের কাছে। রণজি, যাঁর একটি উপাধি জিবিই, তা যতই আদতে গ্র্যান্ড ক্রস ওভার দ্য অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার হোক না কেন, তাঁর ক্ষেত্রে তা হয়ে থাকবে গ্রেট ব্যাটসম্যান এভার হিসেবে।"
নওয়ানগরের জাম
ইংল্যান্ড থেকে দেশে ফেরার পর নওয়ানগরের জাম সাহেব বা শাসক খেতাব পাওয়ার জন্য দীর্ঘ লড়াই চালান রণজিতসিংজি। অবশেষে, ১৯০৭ সালে সে খেতাব অর্জনের পর রণজিতসিংজি নওয়ানগর আধুনিকীকরণের কাজ শুরু করেন। সে সময়ে ধারাবাহিক খরার শিকার ছিল তাঁর এলাকা।
নিজের ২৫ বছরের শাসনকালে রণজিতসিংজি এলাকায় সড়ক ও রেলপথের কাজ করেন, বেদী সমুদ্রবন্দর তৈরি করেন এবং রাজধানী জামনগরের প্রভূত উন্নতিসাধন করেন।
আরও পড়ুন, চন্দ্রযান ২: কীভাবে বিক্রম ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে?
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন রণজিতসিংজি ব্রিটিশ সৈন্যবাহিনীতে যোগ দেন এবং ১৯২০ সালে লিগ অফ নেশনসে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন। ভারতের রাজনীতিতে তিনি কার্যকর ভূমিকা পালন করেন এবং ভারতের রাজন্যশাসিত রাজ্যগুলির পরিষদীয় চেম্বার, চেম্বার অফ প্রিন্সেসের সদস্য হন। অন্য রাজন্যশাসিত রাজ্যগুলির শাসকদের কাছে তিনি ব্রিটিশরাজের আওতাধীন কোনও ফেডারেশন স্কিম গ্রহণ না করার অনুরোধ জানান। তাঁর মৃত্যুর পরেও অন্যদের কাছে সে দৃষ্টিভঙ্গি লাগু ছিল। ১৯৩৫ সালের ঘভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া অ্যাক্টের আওতাধীন ফেডারেল স্কিমের ব্যর্থতা নিশ্চিত করেছিলেন তাঁরা।
Read the Full Story in English