রাঁচি টেস্টে ইনিংস ও ২০২ রানে জয়ের মাধ্যমে ভারত দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৩-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জিতে নিল।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে এর ফলে ভারতের কী সুবিধে হবে?
ভারত এখন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ২৪০ পয়েন্ট পেয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে। ভারতের ঠিক পরে রয়েছে নিউজিল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কা। পয়েন্টের হিসেবে তারা অনেক পিছিয়ে। দু দলেরই পয়েন্ট ৬০ করে। ভারত অবশ্য অন্য দলগুলির চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও এ কথা স্বীকার করতেই হবে, গত তিন বছর ধরে তারা শক্তিশালী পারফরম্যান্স দেখিয়ে চলেছে, যার জেরে তারা টেস্ট র্যাঙ্কিং টেবিলের শীর্ষেও রয়েছে। আরেকটা হিসেবও রয়েছে, যা ঈর্ষণীয়। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচগুলির হিসেবে একমাত্র ভারতই অপরাজিত দল।
আরও পড়ুন, বিশ্লেষণ: বাংলাদেশের ক্রিকেটার ধর্মঘট- দাবিগুলো কী?
কিন্তু ভারত কি তাদের লিড দীর্ঘদিন ধরে রাখতে পারবে?
যে ফর্মে ভারতীয় দল রয়েছে, তাতে ভারত তাদের লিড ধরে রাখবে বলে প্রত্যাশা করাই যায়, এবং ২০১২১ সালের ওয়ার্লড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে তারা ফেভারিট দল। বাংলাদেশ দু টেস্টের সিরিজ খেলেতে ভারতে আসছে, বাংলাদেশকে লঘু ভাবে না নিয়েও বলা যায় আরও ১২০ পয়েন্ট ভারতের সামনে রয়েছে।
বাংলাদেশ সিরিজের পর ভারত আগামী বছেরর ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুটি টেস্ট খেলবে। এই টেস্ট দুটি ভারতের পক্ষে প্রথম সিরিয়াস ম্যাচ হতে চলেছে। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ জয় এবং ইংল্যান্ডের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর হারের প্রমাণিত যে ভারত এখন বিদেশের মাটিতে খারাপ পারফর্মার হিসেবে গণ্য নয়।
জশপ্রীত বুমরা দলে ফেরার পর ভারতের জয়রথ থামানো কঠিন হয়ে পড়েছে, সে তারা যেখানেই খেলুক না কেন। শেষ পাঁচটা ম্যাচে ভারতের জয়ের ব্যবধান দেখলেও বোঝা যায় তাদের শক্তি কতটা। ৩১৮ রান, ২৫৭ রান, ২০৩ রান, ইনিংস ও ১৩৭ রান এবং ইনিংস ও ২০২ রান।
আরও পড়ুন, বিশ্লেষণ: ‘দ্য হান্ড্রেড’, ক্রিকেটের নতুন ফর্ম্যাট
বর্তমান ভারতীয় দল এত অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠল কীভাবে?
ভারতের বোলিং শক্তি এখন মারাত্মক। তাদের মান এবং গভীরতা, অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা সবই চূড়ান্ত। সমস্ত কন্ডিশনের জন্য বোলার রয়েছে ভারতের। স্পিনাররা এখন শুরুর দিকের উইকেট নেওয়ার জন্য পেস বোলারদের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে না, সিমাররা প্রতিকূল পরিবেশেও উইকেট নিতে পারে।
এখন রোহিত শর্মা টেস্ট ওপেনিংয়ে তাঁর কেরিয়ার শুরু করেছেন দারুণ ভাবে, ভারতের ব্যাটিং শক্তিও দারুণতর হয়েছে। শেহবাগ, রাহুল, শচীন, লক্ষ্মণের মত ফ্যাব ফোর নেই বটে, কিন্তু তা সত্ত্বেও ভারতের ব্যাটিং শক্তি দুনিয়ার অন্যতম শক্তিশালী লাইন আপ।
সেরা দল হয়ে ওঠার পক্ষে সব ফ্যাক্টরের এমন আনুপাতিক যোগাযোগ ভারতের ভাগ্যে আগে কখনও জোটেনি।
Read the Full Story in English