করোনাভাইরাস মহামারী জনিত বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দার ফলে ক্রীড়াজগতে সম্ভবত অদ্যাবধি অভাবনীয় কিছু পরিবর্তন আসতে চলেছে। কিছু খেলা অন্য খেলার তুলনায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অর্থনৈতিক কাঠামোটাই পাল্টে যেতে পারে, যার ফলে আর্থিক সঙ্কটে পড়বে র্যাঙ্কিং তালিকায় নীচের দিকের দেশগুলি। হকির মতো খেলার তো ভবিষ্যতই অনিশ্চিত।
ডেলোইট ইন্ডিয়ার পার্টনার মনীশ দেশাই বলছেন, "বেশিরভাগ ক্রীড়া সংগঠনের ক্ষেত্রেই মূল টাকাটা আসে টেলিভিশন ব্রডকাস্ট-এর স্বত্ব বিক্রি থেকে। সবরকম ক্রীড়ানুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে অধিকাংশ সংগঠন, সেটাই স্বাভাবিক। ভারতীয় ক্রিকেটের অবস্থা তুলনায় ভালো বলেই মনে হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার মতো ছোট দেশগুলি বিপদে পড়বে যদি তাদের নতুন করে মিডিয়া চুক্তি না হয়।" পাশাপাশি দেশাই বলেন, ক্রিকেট ছাড়া ভারতে অন্যান্য খেলার ক্ষেত্রে আবার স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফেরা হয়তো কঠিন হবে, মূলত অর্থাভাবের কারণেই।
ক্রিকেট বন্ধ, বাড়তে পারে ভারতের গুরুত্ব
ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বাতিল হয়ে যায় ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ, বাতিলের মুখে আইপিএল-ও। তবে আগামীতে ভারতীয় ক্রিকেটের ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। ক্রিকেটে ফিরতে পারে 'বিগ-থ্রি' আয়-ভাগের মডেল, যেখানে আয়ের সিংহভাগ পাবে ভারত, ইংল্যান্ড, এবং অস্ট্রেলিয়া। এই মডেল প্রথম ব্যবহৃত হয় ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক মন্দার মোকাবিলা করতে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ষীয়ান ক্রিকেট প্রশাসক তথা আইসিসি-র প্রাক্তন চিফ এক্সিকিউটিভ হারুন লোরগাট ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন যে এর ফলে "দুর্বল দেশগুলিকে টিকে থাকার লড়াই" করতে হবে। তাঁর বক্তব্য, "যথেষ্ট পরিমাণ নগদ আমদানি না হলে সাধারণ খরচ চালানোর মতো অর্থও না থাকতে পাররে কিছু দেশের কাছে, এবং সেসময় তাদের সাহায্য না করলে কিছু হতাহতের সম্ভাবনা থাকছে।"
তবে দেশাই বলছেন এখনই আশঙ্কার কারণ নেই। "এই সঙ্কট কাটলে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দেশগুলি আইসিসি-র সাহায্য নিয়ে ফের উঠে দাঁড়াতে পারে। এই সময়টার মধ্যে দিয়ে আমাদের মধ্যে কাউকে হয়তো বাকিদের বহন করেই নিয়ে যেতে হতে পারে," বলেন দেশাই।
পৃথিবীর সবচেয়ে বিত্তশালী ক্রিকেট বোর্ডগুলিও বড় রকম ক্ষতির জন্য তৈরি হচ্ছে। চলতি বছরের শেষের দিকে ভারতের সঙ্গে বহু-প্রতীক্ষিত টেস্ট সিরিজ যদি করোনার প্রকোপে বাতিল হয়, তবে ১৭৪ মিলিয়ন (১৭.৪ কোটি) ডলার হারাতে চলেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। সঙ্কট কেটে গেলে পরবর্তী কোনও তারিখে ভারত এই সিরিজ খেলে কিনা, সেটা দেখার। বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা টি-২০ বিশ্বকাপেরও।
আইপিএল বাতিল হয়ে গেলে বিসিসিআই-সহ টুর্নামেন্টের সম্প্রচারকারী সংস্থা এবং ফ্র্যাঞ্চাইজিদের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে অন্তত ৩,০০০ কোটি টাকা। আইপিএল-এর একটি দলের এক আধিকারিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, "সমস্ত আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি মিলে প্রায় ৬০০ লোকের কর্মসংস্থান করে, যাঁদের মধ্যে স্থায়ী-অস্থায়ী দু'রকমের কর্মীই রয়েছেন। আয় না হলে তাঁদের কাজও থাকবে না। সেই টাকার পরিমাণ প্রায় ১০ কোটি।" এছাড়াও রয়েছে স্টার স্পোর্টস-এর সঙ্গে টেলিভিশন চুক্তি, যা বাতিল হলে ১,৫০০ কোটি টাকা ফেরত দেবে বোর্ড।
আবার এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিও। বিসিসিআই জানিয়েছিল, ভারতের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে (জিডিপি) ২০১৫ সালের আইপিএল-এর অবদান ছিল ১,১৫০ কোটি টাকা। দেশাই বলছেন, টুর্নামেন্টের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রেও এই ক্ষতির প্রভাব পড়বে। "আইপিএল বাতিল হওয়ার চেয়েও ভারতীয় অর্থনীতির সম্ভবত আরও ক্ষতি হবে বিভিন্ন খেলাধুলোর নেপথ্যে যেসব ইন্ডাস্ট্রি, সেগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ায়। সাপোর্ট স্টাফ, লজিস্টিক সংস্থা, এয়ারলাইন, এবং হোটেলের ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা," বলছেন দেশাই।
ফুটবলে বিরতি
গত ১৪ মার্চ গোয়ার দর্শক-শূন্য স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় আইএসএল বা ইন্ডিয়ান সুপার লীগের ফাইনাল। আই-লীগের মরসুম স্থগিত করা হয় ১৫ মার্চ, নেরোকা বনাম চেন্নাই সিটির ২-২ ড্র-এর পর। শেষমেশ আরও ২৩টি ম্যাচ খেলা বাকি, এই অবস্থায় বাতিল হয়ে যায় আই-লীগ মরসুম, এবং চ্যাম্পিয়ন ঘোষিত হয় মোহনবাগান। পরের মরসুম শুরু হতে এখনও অনেক মাস বাকি, এমতাবস্থায় খেলোয়াড় কেনাবেচার বাজারে সক্রিয় হয়ে উঠেছে একাধিক ভারতীয় ক্লাব।
ভারতের অবশিষ্ট বিশ্বকাপের কোয়ালিফাইং ম্যাচগুলিও স্থগিত করা হয়েছে। মার্চ-এপ্রিল জুড়ে কাতার, আফগানিস্তান, এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল, এখন কবে সেগুলি হবে, তা স্পষ্ট নয়।
নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠেয় মহিলাদের অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল বিশ্বকাপ বাতিল হওয়াতে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বেশ কিছু কপালেই, যদিও ফিফা বলেছে যে এই টুর্নামেন্টের পরবর্তী তারিখ যথাসময় ঘোষিত হবে।
সমালোচনার মুখে পড়ে বাতিল ব্যাডমিন্টন
গত ১৫ মার্চ শেষ হওয়া অল ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়নশিপে শেষবারের মতো দেখা গিয়েছিল ভারতের ব্যাডমিন্টন তারকাদের। তখনই এই অভিযোগ ওঠে বেশ কিছু মহল থেকে যে খেলোয়াড়দের বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন। তার পর থেকে সুইস ওপেন, ইন্ডিয়া ওপেন, মালয়েশিয়া ওপেন এবং সিঙ্গাপুর ওপেন সমেত আগামী কয়েক মাসের সমস্ত টুর্নামেন্ট বাতিল করেছে ফেডারেশন। বাতিল হয়েছে মার্চ মাসের শেষে অনুষ্ঠিতব্য পোলিশ ওপেনও।
টেনিসেও চিন্তা দুর্বলদের নিয়ে
এপ্রিল মাসের ১৭ এবং ১৮ তারিখ হওয়ার কথা ছিল ভারত বনাম লাটভিয়ার ফেড কাপ-এর প্লে-অফ ম্যাচ, যা স্থগিত করা হয়েছে।
এরকমই আরও অজস্র টুর্নামেন্ট এবং ম্যাচ বাতিল হওয়ার ফলে কেউ কেউ চিন্তা ব্যক্ত করেছেন যে মূলত প্রতিযোগিতার ওপরেই নির্ভর যেসব অপেক্ষাকৃত নীচের র্যাঙ্কের খেলোয়াড়, তাঁরা ভালোরকম আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। ভারতের প্রাক্তন টেনিস তারকা বিজয় অমৃতরাজ আমাদের বলেন, "প্রথম ১০০-র মধ্যে না থাকলে কপালে দুঃখ আছে।"
ভারতের সিদ্ধার্থ রাওয়াত, যাঁর বর্তমান বিশ্ব র্যাঙ্কিং ৪৩৮, বলেন যে সঞ্চয়ের ওপর ভর দিয়ে সেপ্টেম্বর বা অক্টোবর পর্যন্ত টেনেটুনে চলে যাবে। "তারপর মুশকিলে পড়ব," বলেন তিনি।
গ্র্যান্ড স্ল্যাম টুর্নামেন্টগুলির মধ্যে উইম্বলডন বাতিল হয়েছে, এবং ফ্রেঞ্চ ওপেন ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছে।
অর্থকষ্টে পড়বে অলিম্পিকের অন্যান্য খেলা
অলিম্পিকের খেলাগুলিকে পাঁচটি বিভাগে ভাগ করা হয়, এবং খেলার জনপ্রিয়তা ও দর্শক সংখ্যার ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) কাছ থেকে অনুদান পায় প্রতিটি খেলার আন্তর্জাতিক ফেডারেশন। এই অনুদানের পরিমাণ হতে পারে ৭ মিলিয়ন (৭০ লক্ষ) ডলার থেকে শুরু করে ৪০ মিলিয়ন (৪ কোটি) ডলার পর্যন্ত। অলিম্পিক গেমস স্থগিত হয়ে যাওয়ার ফলে এই অনুদান সম্ভবত বন্ধ করে দেবে আইওসি। এর ফলে আবার ভারতে একাধিক খেলার পরিচালনার ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়বে।
"এই মন্দা আমাদের কাছে একটা ধাক্কা বটেই। প্রশ্ন হলো, কত বড় ধাক্কা," আমাদের বলেন আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনের সিইও থিয়েরি ওয়াইল।
ভারতের শীর্ষস্থানীয় অ্যাথলেটদের ক্ষেত্রে ধাক্কাটা তেমন জোরদার নাও হতে পারে, যেহেতু ক্রীড়ামন্ত্রক আশ্বাস দিয়েছে যে তাঁদের বিভিন্ন খাতে হাতখরচ, মাসিক স্টাইপেন্ড, এবং প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতার খরচে হাত পড়বে না। তবে পরিকাঠামো খাতে খরচ কমবে বটেই।
অ্যাথলেটিক্স: আগামী ২০২২-এর গ্রীষ্মে দম ফেলার সময় পাবেন না ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড অ্যাথলেটরা। দু'মাসে তিনটি বড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে তাঁদের। বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হবে ১৫-২৪ জুলাই, তারপরেই কমনওয়েলথ গেমস (২৭ জুলাই-৭ অগাস্ট), এবং ১০ সেপ্টেম্বর থেকে এশিয়ান গেমস।
মার্চ মাস থেকে অনুষ্ঠেয় প্রতিযোগিতাগুলির মধ্যে নানজিংয়ে ১৩-১৫ মার্চ হওয়ার কথা ছিল বিশ্ব ইনডোর চ্যাম্পিয়নশিপ, যা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে ১৯-২১ মার্চ, ২০২১ পর্যন্ত। চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল কাতারে অনুষ্ঠেয় দোহা ডায়মন্ড লীগও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিরন্দাজি: ২০-২৬ এপ্রিল গুয়াতেমালা সিটিতে হওয়ার কথা ছিল বিশ্বকাপ, যা বাতিল করা হয়েছে। ৪-১০ মে সাংহাইয়ে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপও বাতিল হয়েছে।
বক্সিং: চিনে করোনাভাইরাসের কেন্দ্রবিন্দু উহান শহর থেকে সরিয়ে আনা হয় এশিয়া-ওশিয়ানিয়া অলিম্পিক কোয়ালিফায়ার, যা ৩-১১ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় জর্ডানের রাজধানী আম্মানে। নজিরবিহীন ভাবে ভালো ফল করে ভারতীয় দল, তবে দেশে ফেরার পরেই দিল্লি বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং করা হয় তাঁদের, এবং করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের জেরে তাঁরাই হয়ে যান কোয়ারান্টিনে যাওয়া প্রথম ভারতীয় ক্রীড়া তারকাদের দল।
জার্মানির কলোনে ১৭-২০ জুন অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপ বাতিল করা হয়েছে।
শুটিং: দিল্লিতে ১৫-২৬ মার্চ অনুষ্ঠেয় শুটিং বিশ্বকাপ স্থগিত করা হয়েছে ২-৯ জুন পর্যন্ত। টোকিয়োতে ১৬-২৬ এপ্রিলের প্রাক-অলিম্পিক প্রতিযোগিতা বাতিল করা হয়েছে।
টেবিল টেনিস: দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে বিশ্ব টিম চ্যাম্পিয়নশিপ ২২-২৯ মে থেকে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে ২১-২৮ জুন পর্যন্ত। ওদিকে ৬-১২ এপ্রিল ব্যাঙ্ককে অনুষ্ঠেয় এশিয়ান অলিম্পিক কোয়ালিফাইং টুর্নামেন্ট স্থগিত করা হয়েছে।
কুস্তি: গত ২০-২৩ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয় এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ, যদিও নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেয় চিন, উত্তর কোরিয়া, এবং তুর্কমেনিস্তান। চিনের শি'ইয়ান শহরে ২৭-২৯ মার্চ হওয়ার কথা ছিল এশিয়ান অলিম্পিক কোয়ালিফাইং প্রতিযোগিতা, যা স্থগিত করা হয়েছে। অন্যান্য অনেক খেলার মতোই এর ফলে অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।
হকি: মহামারীর আগেও পৃথিবীর অধিকাংশ দেশেই অবস্থা বেহাল হয়েছিল হকির। ব্যতিক্রম ছিল ভারত, নেদারল্যান্ডস, এবং অনেকাংশে অস্ট্রেলিয়া। তবে র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থানীয় দেশগুলিরও বর্তমান দশা, এবং আন্তর্জাতিক হকি ফেডারেশনের নড়বড়ে স্বাস্থ্য ইঙ্গিত দিচ্ছে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের। ওদিকে ১৪-২৫ মার্চ চিন সফরে যাওয়ার কথা ছিল ভারতীয় মহিলা দলের, যা অবশ্যই বাতিল হয়েছে।
কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে ক্রীড়াজগত
"করোনাভাইরাসের ভয় নিয়েই বাঁচতে হবে," বলছেন দেশাই, যিনি আরও সতর্ক করে দিচ্ছেন যে ২০২০-পূর্ববর্তী সময়ে ফিরে যাওয়া বোধহয় আর সম্ভব হবে না খেলার জগতের পক্ষে।
তুলনায় ছোট অথবা দুর্বল লীগ বা খেলার মৃত্যুও ঘটতে পারে, বলছেন ফ্রান্সের এমলিয়ঁ বিজনেস স্কুলের সেন্টার ফর ইউরেশিয়ান স্পোর্ট ইন্ডাস্ট্রির অধিকর্তা সাইমন চ্যাডউইক। অর্থাৎ আইপিএল, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, বা এনবিএ-র মতো বড় ব্র্যান্ড টিকে গেলেও "ছোট ক্লাব, ছোট দল, ছোট সংগঠন, সবচেয়ে ছোট যেসব খেলা, তারা বলছে তারা আর চালাতে পারবে না", বলছেন তিনি।
স্বাভাবিকত্বের দিকে প্রথম ধাপ হবে সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্রীড়া সংগঠনগুলির বৈঠক, যেখানে আগামীর মানচিত্র তৈরি হবে, বলছেন দেশাই। তাঁর মতে, দু'ভাবে স্বাভাবিকের দিকে যেতে পারে পরিস্থিতি। এক, স্টেডিয়ামে ফেরত আনা হোক দর্শক, সামাজিক দূরত্ব-বিধি মেনেই। যদিও চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, টুর্নামেন্ট চলাকালীন খেলোয়াড় বা আধিকারিকদের 'সামগ্রিক পরীক্ষা' করার পরিকল্পনা অবাস্তব, যার ফলে মুশকিল খেলায় ফেরাও।
দুই, অদূর ভবিষ্যতে দর্শক-বিহীন স্টেডিয়ামেই চলবে খেলা, এবং চেষ্টা থাকবে টেলিভিশনে যাঁরা দেখবেন, তাঁদের অভিজ্ঞতা যথাসম্ভব সমৃদ্ধ করার। দেশাই বলছেন, "স্ক্রিনে আরও বেশি বিশ্লেষণ, এবং ফ্যানদের খেলা দেখার অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ করতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর ব্যবহার দেখতে পারি আমরা।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন