'শাহেনশা' অমিতাভ বচ্চন দাদাসাহেব ফালকে সম্মানে ভূষিত হচ্ছেন। ভারতীয় সিনেমার শ্রেষ্ঠতম সম্মান এই দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার। মঙ্গলবার দেশের তথ্য সংস্কৃতিমন্ত্রী প্রকাশ জাভেদকর টুইট করে অমিতাভ বচ্চনের খেতাবপ্রাপ্তির কথা জানিয়েছেন।
দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার জাতীয় পুরস্কারেরই অন্তর্গত। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এ পুরস্কার সব সম্মানের সেরা বলে স্বীকৃত। ভারতের প্রথম চলচ্চিত্র ছিল রাজা হরিশচন্দ্র, যা মুক্তি পেয়েছিল ১৯১৩ সালে। সে চলচ্চিত্রের নির্মাতা ছিলেন ঢুণ্ডিরাজ গোবিন্দ ফালকে। এ পুরস্কার তাঁরই নামে।
দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার কী, দাদাসাহেব ফালকে কে ছিলেন?
দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার
প্রতিবছর তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রক এ পুরস্কার দিয়ে থাকে। ফিল্ম জগতে এ পুরস্কার সর্বোত্তম বলে স্বীকৃত। ভারতীয় সিনেমার উন্নতিকল্পে অবিস্মরণীয় অবদানের জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে।
চলচ্চিত্র উৎসবের ডিরেক্টরেটের ওয়েবসাইট অনুসারে ১৯৬৯ সালে এই পুরস্কার দেওয়ার সূচনা। এ পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে স্বর্ণ কমল, ১০ লক্ষ নগদ টাকা, একটি সিল্ক রোল এবং একটি শাল। ওয়েবসাইটে বলা রয়েছে, তথ্যসম্প্রচার মন্ত্রী, জুরিদের চেয়ারপার্সন, ভারতের ফিল্ম ফেডারেশনের প্রতিনিধি এবং সারা ভারত সিনে এমপ্লয়িজদের কনফেডারেশনের বরিষ্ঠ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে প্রাপকের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন দেশের রাষ্ট্রপতি।
The legend Amitabh Bachchan who entertained and inspired for 2 generations has been selected unanimously for #DadaSahabPhalke award. The entire country and international community is happy. My heartiest Congratulations to him.@narendramodi @SrBachchan pic.twitter.com/obzObHsbLk
— Prakash Javadekar (@PrakashJavdekar) September 24, 2019
অমিতাভ বচ্চন এই পুরস্কারের ৫০ তম প্রাপক। গত বছর এ পুরস্কার দেওয়া হয় প্রয়াত অভিনেতাবিনোদ খান্নাকে, মরণোত্তর।
১৯৬৯ সালে প্রথম পুরস্কার প্রাপক ছিলেন দেবিকা রানি। এর পর এ পুরস্কারে ভূষিত হন, সংগীত পরিচালক নৌশাদ, পরিচালক সত্যজিৎ রায়, পরিচালক রজিত কাপুর, গায়িকা লতা মঙ্গেশকর, অভিনেতা দিলীপ কুমার, পরিচালক যশ চোপরা, লেখক গুলজার, অভিনেতা শশী কাপুর, অভিনেতা মনোজ কুমার সহ অন্যান্যরা।
ঢুণ্ডিরাজ গোবিন্দ দাদাসাহেব ফালকে
১৮৭০ সালে মহারাষ্ট্রের ট্রিমবাকে জন্মগ্রহণ করেছিলেন দাদাসাহেব ফালকে। ছেলেবেলা থেকেই তাঁর আগ্রহ ছিল শিল্পকলার প্রতি। ইঞ্জিনিয়ারিং ও ভাস্কর্য বিষয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। ১৯০৬ সালে লাইফ অফ ক্রাইস্ট নামক নির্বাক ছবি দেখার পর তাঁর ঝোঁক জন্মায় সিনেমার দিকে।
ফিল্মের জগতে পা রাখার আগে ফালকে ফোটগ্রাফার হিসেবে কাজ করেছিলেন, থাঁর নিজের একটি ছাপাখানা ছিল। এমনকি বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী রাজা রবি বর্মার সঙ্গেও কাজ করেছিলেন তিনি।
১৯১৩ সালে ফালকে রাজা হরিশ্চন্দ্র লেখেন, প্রযোজনা এবং পরিচালনা করেন ভারতের প্রথম কাহিনিচিত্র রাজা হরিশ্চন্দ্র। বলা বহুল্য সে ছিল নির্বাক ছবি। ব্যাপক বাণিজ্যসফলতার মুখ দেখার পর পরবর্তী ১৯ বছরে তিনি আরও ৯৫টি ছবি ও ২৬টি শর্ট ফিল্ম বানান।
সিনেমায় শব্দ এসে যাওয়ার পর ফালকের ভাগ্য বিড়ম্বনা ঘটে, তিনি নাসিকে ১৯৪৪ সালে মারা যান। তার আগেই তিনি সিনেমা জগৎ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন।
Read the Full Story in English