পাকিস্তান থেকে পলাতক জাবির মোতির প্রত্যর্পণ মামলার শুনানি ব্রিটেনের একটি আদালতে শেষ হয়েছে। জাবির মোতিকে দাউদ ইব্রাহিমের অপরাধ সিন্ডিকেটের একজন চাঁই হিসেবে ধরা হয়।
আমেরিকা মোতিকে নিজেদের হাতে পেতে চাইছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি কী কী একবার দেখে নেওয়া যাক।
জাবির মোতি কে?
তার নাম জাবির মোতওয়ালা। জাবির মোতি বা জাবির সিদ্দিক নামেও পরিচিত সে। করাচির পাকিস্তানি নাগরিক জাবিরের কাছে ১০ বছরের ব্রিটেনের ভিসা রয়েছে এবং হাঙ্গারিতে একটি স্থায়ী আবাসও রয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই।
রিপোর্টে বলা হয়েছে সে অ্যান্টিগা এবং ডোমিনিকান রিপাবলিকের নাগরিক।
অভিযোগ, মোতিওয়ালা ডি কোম্পানির এক শীর্ষস্থানীয় সদস্য। সে খুবই ঘনঘন পাকিস্তান যাতায়াত করে এবং দাউদের সঙ্গে দেখা করে। ব্রিটিশ আদালতে আমেরিকার আইনজীবীরা এসব অভিযোগ করেছেন।
২০০৯ সালে এফবিআইয়ের এক তদন্তে মোদীকে ডি কোম্পানির একজন প্রধান অর্থপাচারকারী বলে অভিযুক্ত করা হয়।
২০১৬ সালে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা মোতির সঙ্গে দাউদের আরেক সহযোগী খালিক আহমেদের বার্তালাপে আড়ি পাতে। ওই কথোপথনে খালিক দাউদকে ৪০ কোটি টাকা দেবার কথা বলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
মোতির আইনজীবী আদালতে বলেছেন, তাঁর মক্কেল করাচির একজন ব্যবসায়ী এবং তাঁর বাবা ১৯৫১ সালে করাচি স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা।
মোতির বিরুদ্ধে ঠিক কী মামলা চলছে?
আমেরিকা মোতির বিরুদ্ধে ড্রাগ পাচার, বেআইনি দ্রব্য আমদানির ষড়যন্ত্র, ১.৪ মিলিয়ন ডলার অর্থ পাচারের অভিযোগ এনেছে।
মোতিকে ২০১৮ সালে গ্রেফতার করে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। তখন তেকেই তাকে হাতে পেতে চাইছে আমেরিকা।
২০১০ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন কাণ্ডে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আমেরিকার হাতে গেলে তার ২৫ বছরের জেল হতে পারে।
লন্ডনে মোতির আইনজীবীরা প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে লড়ছেন।
মোতির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ প্রমাণিত হলে মার্কিন আইনানুসারে তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
আমেরিকা ২০০৩ সালে দাউদ ইব্রাহিমকে বিশেষ ধরনের সন্ত্রাসবাদী তকমা দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার সম্পত্তি ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে এবং আমেরিকার নাগরিকদের সঙ্গে তার লেনদেনও নিষিদ্ধ।