শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের বহিষ্কারকে সাংবিধানিকভাবে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের মামলা নয় বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠিয়েছে। শবরীমালার রায় পর্যালোচনার করার জন্য ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গঠিত হয়েছে নয় বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ। দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের এই আবেদনটি (সেন্ট্রাল বোর্ড অফ দাউদি বোহরা সম্প্রদায় এবং অন্যান্য বনাম মহারাষ্ট্র রাজ্য এবং অন্যান্য) ১৯৮৬ সাল থেকে মুলতুবি রয়েছে।
২০২২ সালের অক্টোবরে বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কউল, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি এএস ওকা, বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি জেকে মহেশ্বরীর সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ এই মামলা নয় সদস্যের বেঞ্চে পাঠাবে কি না, সেই নিয়ে রায়দান স্থগিত রেখেছিল। ধর্মাচরণ নিয়ে শবরীমালা মামলার রায় পর্যালোচনার জন্য এই নয় সদস্যের বৃহত্তর সাংবিধানিক বেঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।
কারা দাউদি বোহরা?
দাউদি বোহরা হল শিয়া মুসলিম সম্প্রদায়। যাদের নেতা আল-দাই-আল-মুতলাক। সম্প্রদায়ের সদস্যদের দাবি, বিশ্বে প্রায় ১০ লক্ষ দাউদি বোহরা ছড়িয়ে আছেন। ৪০০ বছরেরও বেশি পুরোনো এই সম্প্রদায়। যার বর্তমান এবং ৫৩তম নেতা হলেন ড. সৈয়দনা মুফাদ্দাল সাইফুদ্দিন। তিনি ভারতের বাসিন্দা। তিনি সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে সদস্যদের বহিষ্কার করার অধিকারী।
বহিষ্কারের অর্থ হল, দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের অন্তর্গত মসজিদ বা সম্প্রদায়ের জন্য উত্সর্গীকৃত সমাধিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে প্রবেশের অনুমতি না-দেওয়া। সম্প্রদায়ের সদস্যদের মধ্যে যারা অতীতে বহিষ্কারের মুখোমুখি হয়েছেন, তাঁরা হলেন সেই সব ব্যক্তি, যাঁরা নেতৃত্বের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
আরও পড়ুন- বিরাট সুখবর! জম্মু-কাশ্মীরে মিলল লিথিয়ামের খোঁজ, তাতে লাভ?
বহিষ্কারের বিরুদ্ধে আবেদন
১৯৪৯ সালের ১ নভেম্বর বম্বে প্রিভেনশন অফ কমিউনিকেশন অ্যাক্ট (বর্তমানে বাতিল) প্রণয়ন করা হয়েছিল। ওই আইন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত বহিষ্কারের রীতি বন্ধের জন্য তৈরি হয়েছিল। কারণ, তা সদস্যদের বৈধ অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে। পরিবর্তিত আইনও কোনও সম্প্রদায় থেকে কোনও সদস্যের বহিষ্কার অবৈধ করে দিয়েছে। সেই আইনের সাহায্যেই দাউদি বোহরা সম্প্রদায়ের বহিষ্কৃতরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
Read full story in English