বলিউডের অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর তদন্তের অংশ হিসাবে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) দুটি এফআইআর দায়ের করেছে। প্রথম এফআইআরটি ছিল সুশান্ত বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। যেখানে সুশান্তের অর্থপাচারে রিয়ার যোগ কেন্দ্র করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) মামলা দায়ের করে। আর দ্বিতীয়টি সোশাল মিডিয়া চ্যাটে পাওয়া গাঁজা সম্বন্ধিত বেশ কয়েকটি তথ্য থেকে বলিউডের অভিনেত্রীদের নাম পাওয়া, যাঁদের সমন পাঠান হয়।
এখনও পর্যন্ত বলিউডে ড্রাগের আঁতুড়ঘর খুঁজতে রিয়া চক্রবর্তী এবং তাঁর ভাই সৌভিক-সহ ১৯ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে এনসিবি। সুশান্ত মৃত্যুর সঙ্গে সরাসরি যোগে রিয়াকে গ্রেফতার করা না হলেও ড্রাগ মামলায় আটক করা হয়েছে অভিনেত্রীকে। এরপরই মাদক কারবারে বলিউডের একাধিক হেভিওয়েটের নাম উঠে আসে। দীপিকা পাড়ুকোন, সারা আলি খান, শ্রদ্ধা কাপুরকেও তলব করে এনসিবি।
বলিউডের এই সব অভিনেত্রীদের কী অভিযুক্ত করা হয়েছে?
দ্বিতীয় এফআইআর-এ গ্রেফতার রিয়া ছাড়াও এখনও প্রথম এফআইআর-তে কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। অভিনেত্রীদের কারোকেই আসামি উল্লেখ করা হয়নি। রিয়া এবং কোয়ান ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্মচারী সুশান্ত সিং রাজপুতের জয়া সাহার ফোনে পাওয়া চ্যাটগুলির ভিত্তিতে তাদের সবেমাত্র অভিনেত্রীদের তলব করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদই করা হয়েছে।
কীভাবে দীপিকা পাডুকোন এবং তাঁর ম্যানেজার-প্রযোজক মধু মন্টেনার নাম উঠল?
এনসিবির অফিসাররা জানিয়েছেন যে তারা জয়া সাহার কিছু হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ভিত্তিতে দীপিকা এবং তার ম্যানেজার করিশ্মা প্রকাশকে (কোয়ান কর্মচারী) তলব করেছেন। প্রযোজক মধু মন্টেনাকে জয়া সাহার বয়ানের ভিত্তিতে তলব করা হয়েছিল। যেহেতু প্রথম এফআইআর-এ জয়া সাহাকে অভিযুক্ত হিসাবে সনাক্ত করা হয়েছিল তাই দীপিকা-সহ বাকি সবাইকে এই মামলার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে রাকুল প্রীত সিংকেও তলব করা হয়েছে।
সারা আলি খান এবং শ্রদ্ধা কাপুরকে কেন তলব করা হল?
এখানে দুটি মত রয়েছে। এনসিবি সূত্র জানায় ৬ থেকে ৯ সেপ্টেম্বরে রিয়া চক্রবর্তীকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় এই দুজনের নাম জানা যায়। যদিও রিয়াকে গ্রেফতার করার আগে, তার আইনজীবী সতীশ মানেশিন্দে বলেন যে রিয়া এনসিবির জিজ্ঞাসাবাদে কোনও নাম উল্লেখ করেননি। জানা যায় রিয়া এবং তাঁর ভাই-সহ ১৭ জনকে যে এফআইআরে গ্রেফতার করা হয়েছে সেই একই এফআইআরের ভিত্তিকে এই দুই অভিনেত্রীকে তলব করেছে এনসিবি।
অভিনেত্রীদের কোন সমস্যার মুখোমুখি পড়তে হতে পারে?
এনসিবির আধিকারিকরা বলেছেন যে তদন্তে তারা এখনও পর্যন্ত যে বক্তব্য ও আড্ডার সন্ধান পেয়েছেন তার ভিত্তিতে তারা অভিনেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। এর ভিত্তিতে তারা ভবিষ্যতের কার্যক্রমের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। এক অফিসার বলেন যে মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করতে তাদের ছয় মাস সময় রয়েছে এবং কে কে মামলা করবেন এবং কোন বিভাগ প্রয়োগ করা হবে তা সিদ্ধান্ত নিতে তারা তাদের সময় নেবে। এফআইআর-তে সমস্ত নাম নির্দিষ্ট করা হয়নি, চার্জশিট দাখিল করার সময় প্রত্যেক আসামির ভূমিকা নির্দিষ্ট করতে হবে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন