সদ্য অক্টোবর পেরিয়েছে। আর, এই অক্টোবরের শেষ সপ্তাহই কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে দিল্লির শাসকদের। কারণ, দেশের রাজধানীতে দূষণ ব্যাপকহারে বেড়েছে। তার মধ্যে ২১ থেকে ২৬ অক্টোবর, এই সময়টায় দিল্লিতে দূষণ বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। দ্য সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (সিএসই)-র নথিতে এই দূষণ বৃদ্ধি ধরা পড়েছে।
নথি যা বলছে
সেই নথি বলছে, চলতি মরশুমে সবচেয়ে বেশি দূষণ হয়েছে অক্টোবরের ২১ থেকে ২৬-এর মধ্যে। কারণটা কী, তা-ও জানিয়েছে সিএসই। বলেছে, গাড়ির ধোঁয়া থেকেই দূষিত হয়েছে দেশের রাজধানী। রিপোর্টে সিএসই আরও স্পষ্ট করে বলেছে, অক্টোবরের ২১ থেকে ২৬ এর মধ্যে দিল্লিতে যতটা দূষণ হয়েছে, তার ৫১ শতাংশই হয়েছে গাড়ির ধোঁয়ার জন্য। ১৩ শতাংশ দূষণ বেড়েছে গৃহস্থালির কাজকর্মের জন্য। আর, ১১ শতাংশ বিভিন্ন কল-কারখানার জন্য।
আরও পড়ুন- গরু পাচার চক্রের শিকড়ের খোঁজে ED-CBI, দিল্লি-কলকাতায় একযোগে জিজ্ঞাসাবাদ
অন্যান্য কারণেও বাড়ছে দূষণ
এছাড়া অবশ্য দেশের দূষণপ্রবণ রাজধানীতে দূষণ বৃদ্ধির কারণ আছে। সেগুলো হল যেমন, ৭ শতাংশ দূষণ বেড়েছে নির্মাণকাজের জন্য। আবর্জনা পোড়ানো এবং বিদ্যুৎ ক্ষেত্রের জন্য ৫ শতাংশ করে দূষণ বেড়েছে। রাস্তার ধুলোর জন্য ৪ শতাংশ বায়ুদূষণ ঘটেছে এই সময়টায়। এই সব তথ্য প্রমাণ অনুযায়ী, দিল্লির স্থানীয় কারণের জন্য ৩২.৯ শতাংশ বায়ুদূষণ ঘটে। দেশের রাজধানীতে বাকি দূষণের ৩২.৮ শতাংশের কারণ দিল্লি সংলগ্ন অঞ্চল। আর, অন্যান্য জেলার দূষণ দেশের রাজধানীর ২৫.৮ শতাংশ বায়ুদূষণের জন্য দায়ী। পাশাপাশি, সংলগ্ন রাজ্যগুলোর শ্মশানচুল্লিগুলোও দিল্লির বাতাসে দূষণ ঘটাচ্ছে। তাতে দেশের রাজধানীর বায়ুদূষণ ঘটছে ৯.৫ শতাংশ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবস্থা
এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থার কথা বলেছে সিএসই। সেগুলো হল গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ জারি করা। মেট্রো চলাচলের সঙ্গে সংযোগ বজায় রেখে গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করা। ধোঁয়া বের হয় না, যেমন সাইকেল, ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যবহার বৃদ্ধি করা। পাশাপাশি, হেঁটেই যাতে লোকজন কাছাকাছি দূরত্বে যেতে পারে, সেজন্য হাঁটার যোগ্য ফুটপাথের ব্যবস্থা রাখা।
Read full story in English