আসন সংখ্যা এখনও শূন্য, তবে ২০১৫ সালের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে যে ৯.৬৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিল, সেখান থেকেও হড়কে গেল ভারতের জাতীয় কংগ্রেস। আজ, মঙ্গলবার, দুপুর দেড়টা নাগাদ দেখা গেল, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোটের হার ৪.২৪ শতাংশ।
অতীতের দিকে তাকিয়ে থাকলে চলবে না
দলের রাজ্য শাখার অভ্যন্তরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছিল গত একমাস ধরেই, এবং দিল্লি ২০২০ একটা কথা স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিল: শুধুমাত্র প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের কৃতিত্বের ওপর নির্ভরশীল কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচার কোনোরকম ছাপ ফেলে নি আম জনতার মনে। তাঁরা ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে চান, অতীতের দিকে নয়। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থানে দৌড় শেষ করে কংগ্রেস, কিন্তু বিধানসভা ভোটে আম আদমি পার্টি এবং বিজেপির সমালোচনা ব্যতীত আর দেওয়ার মতো কিছু ছিল না তাদের।
শনিবার ভোটদান শুরু হওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছিলেন যে কংগ্রেস ১-২ শতাংশ ভোট পাবে - খুব একটা ভুল যে বলেন নি, তা এখন বোঝা যাচ্ছে।
এখন কী করতে পারে কংগ্রেস
আগামীদিনে স্রেফ আত্মসমীক্ষা করে বসে থাকলে চলবে না। অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির মুখপাত্র শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায় কার্যত তা স্বীকার করে নিয়েই টুইট করেন, "দিল্লিতে আবারও একবার আমরা ধূলিসাৎ। যথেষ্ট আত্মসমীক্ষা হয়েছে, এবার কাজ করতে হবে। ওপরমহলে সিদ্ধান্ত নিতে অহেতুক বিলম্ব, রাজ্যস্তরে স্ট্র্যাটেজি এবং একতার অভাব, নিরাশ কর্মীবাহিনী, তৃণমূল স্তরে সংযোগের অভাব - এর প্রতিটিই কারণ। এই সিস্টেমের অংশ হিসেবে আমিও দায় স্বীকার করছি।"
নিম্নগামী কর্মী সংখ্যা
দেশের রাজধানীতে কংগ্রেসের যথেষ্ট পরিমাণে ক্যাডার নেই - যে ক্যাডারের কাঁধে ভর দিয়েই প্রত্যেক ভোটদাতার দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে আপ এবং বিজেপি। ভারতের 'গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি'র এখন প্রয়োজন নতুন ভাবনাচিন্তা, প্রানশক্তিতে ভরপুর স্থানীয় নেতৃত্ব, এবং নির্বাচনী প্রচারের মসৃণতর প্রক্রিয়া। যদি ভবিষ্যতে দিল্লির রাজনীতিতে আদৌ তারা কোনও ভূমিকা নিতে চায়।