Advertisment

Explained: আসন পুনর্বিন্যাস নিয়ে রাজনৈতিক লড়াই! হলে কার লাভ, ক্ষতিই বা কাদের?

অতীতে মহিলা সংরক্ষণের ক্ষেত্রে জনগণনা এবং আসন পুনর্বিন্যাসের প্রশ্ন ওঠেনি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Delimitation Exercise

বিরোধী দলগুলো বারবার পুনর্বিন্যাস ছাড়াই সরকারকে মহিলা সংরক্ষণ বাস্তবায়নের কথা বলছে।

মহিলা সংরক্ষণ বিল, লোকসভা এবং বিধানসভাগুলোয় মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ চালু করেছে। গত সপ্তাহে সংসদের উভয়কক্ষে এই বিল দ্রুত পাস করানো হয়েছে। তবে এই বিল প্রয়োগে কিছু শর্ত আছে। সেটা হল, আগে জনগণনা করতে হবে। আসন পুনর্বিন্যাস করতে হবে। তার পরে বিল প্রয়োগ করা হবে। যার কারণে বিলের ভবিষ্যৎ এখনও অন্ধকারে বলেই দাবি বিরোধী দলগুলোর।

Advertisment

বিরোধীরা কেন অবিলম্বে বাস্তবায়ন দাবি করছেন?

সেই কারণে বিরোধী বারবার কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকারকে বলেছে, সীমাবদ্ধতা যেরকম আছে থাকুক। তার মধ্যেই অবিলম্বে এই বিল বাস্তবায়িত করা হোক। যাতে মহিলাদের সংরক্ষণে কোনও সমস্যা না-হয়। বিরোধীদের দাবি, বিলের সীমাবদ্ধতা এবং তার বাস্তবায়ন, এর মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে তার প্রয়োগে কোনও দেরি করা উচিত নয়। বিরোধীদের এসব বলার কারণ, অতীতে যতবার মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে সংসদে আলোচনা হয়েছে, সেখানে কিন্তু বিল প্রয়োগের আগে জনগণনা করতে হবে, এমন কিছু নিয়ে আলোচনায় উঠে আসেনি।

জনগণনা ও বিল প্রয়োগ

কিন্তু, সরকার মনে করছে, জনগণনা এবং মহিলা সংরক্ষণ বিলের প্রয়োগ, পরস্পরের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত। তাই জনগণনার ওপর বিল প্রয়োগ নির্ভর করছে। সরকার বেশ কয়েকটি উদ্দেশ্যে একথা বলছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যেসব কারণগুলো মাথায় রেখে সরকার এসব কথা বলছে, তার মধ্যে অন্যতম হল লোকসভা এবং বিধানসভা কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি। বর্তমান পরিস্থিতিতে, মহিলাদের জন্য এক-তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষণ হলে পুরুষ বিধায়কদের সংখ্যায় তেমন কোনও হেরফের ঘটবে না। তার ফলে নারী প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব থেকে বঞ্চিত হবে। এর পাশাপাশি, আসন পুনর্বিন্যাসের বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই আসন পুনর্বিন্যাস একটি সাংবিধানিক বিষয়। যা, প্রত্যেক আদমশুমারির পরে করা হয়। নির্দেশটি হল, সর্বশেষ জনসংখ্যার তথ্যের ভিত্তিতে আসন সংখ্যা ও তার সীমানা নির্ধারণ।

আরও পড়ুন- ফের অগ্নিগর্ভ মণিপুর! থিতিয়ে যাওয়া আগুন কেন আবার ভয়ংকর হয়ে উঠল?

দক্ষিণের বিরোধিতা

দক্ষিণ ভারতের রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধিতার কারণে গত ৫০ বছর ধরে লোকসভা এবং বিভিন্ন রাজ্যে বিধানসভার আসন সংখ্যা পরিবর্তন হয়নি। এমনকী, এখনও দক্ষিণ ভারতের দলগুলো আসন পুনর্বিন্যাস চায় না। তার কারণ, আসন পুনর্বিন্যাস হলে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোয় লোকসভার আসন সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে। কারণ, সেখানে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর, তেমনটা হলে সবচেয়ে বেশি লাভ হবে বিজেপির। বিশেষজ্ঞদের মতে, গত ৩৫ বছরে মহিলাদের সংরক্ষণ বাস্তবায়িত না-হওয়ার অন্যতম কারণ হল পুরুষ রাজনীতিবিদদের আসন ছেড়ে দেওয়ার ভয়। বর্তমানে, ৫৪৫ সদস্যবিশিষ্ট লোকসভায় ৩৩ শতাংশ মহিলা সংরক্ষণের অর্থ হল, মহিলাদের জন্য ১৮২টি আসন ছেড়ে রাখা। আর, পুরুষদের জন্য সেক্ষেত্রে মাত্র ৩৬৩টি আসন থাকবে। বর্তমান লোকসভায় ৪৬৭ জন পুরুষ রয়েছেন। কিন্তু, আসন পুনর্বিন্যাস হওয়ার সংখ্যাটা পরিবর্তন হতে বাধ্য বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

bjp Oppositions Womens Reservation Bill
Advertisment