Advertisment

Explained: নাসিকে পেঁয়াজ বিক্রেতাদের ধর্মঘট: কী চাইছেন বিক্রেতারা, পেঁয়াজের দাম কি বাড়বে?

২১ সেপ্টেম্বর থেকে ধর্মঘট চলছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Onion Traders

২০২৩ সালের মার্চ মাসে আহমেদাবাদের এপিএমসি পাইকারি বাজারে মজুদ পেঁয়াজের পাশে বসে একজন ব্যবসায়ী। (নির্মল হরিন্দ্রনের প্রতীকী ছবি/এক্সপ্রেস ফোটো)

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর), মহারাষ্ট্রের নাসিকের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী এবং কমিশন এজেন্টরা সবজির ওপর সম্প্রতি আরোপিত রফতানি শুল্ক এবং এর বিক্রয় সংক্রান্ত অন্যান্য সমস্যার বিরুদ্ধে বর্তমান ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নাসিকের ১৫টি পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ী ও কমিশন এজেন্টরা ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ধর্মঘট চালাচ্ছেন। শনিবার এক বৈঠকের পর তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের দাবি পূরণ না-হওয়া পর্যন্ত এবং সরকার শুল্ক প্রত্যাহার না-করা পর্যন্ত এই ধর্মঘট চলবে। তাঁরা যে সমস্ত সমস্যা তুলে ধরেছেন, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Advertisment

কেন ধর্মঘটে নাসিকের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা?

২১ সেপ্টেম্বর, নাসিকের ১৫টি পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ী এবং কমিশন এজেন্টরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সাম্প্রতিক সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তাঁরা ধর্মঘট শুরু করেছেন। সরকার পেঁয়াজ রফতানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। সেই কারণে শুল্ক প্রত্যাহার ব্যবসায়ীদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দাবি। পাশাপাশি, ব্যবসায়ীরা ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এগ্রিকালচারাল মার্কেটিং ফেডারেশন (NAFED) এবং ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ কনজিউমার ফেডারেশন (NCCF)-কে পেঁয়াজ বিক্রি না-করতে বলেছিল। কৃষকদের থেকে পাইকারি দামে পেঁয়াজ না-কিনতেও বলেছিল।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ

এর পাশাপাশি, ব্যবসায়ীরা ১ শতাংশ শুল্ক অনেক বেশি হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে। সঙ্গে, ওই শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছে। কিন্তু, বাজার কমিটির সঙ্গে বৈঠক ব্যর্থ হওয়ায় ব্যবসায়ীরা শেষ পর্যন্ত নাসিকের ১৫টি বাজারেই নিলাম বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্যে ১০ দিনেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। কিন্তু, ধর্মঘট প্রত্যাহারের কোনও লক্ষণ নেই। তার মধ্যেই রাজ্যের মন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় বাণিজ্য, শিল্প, ভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য ও সরকারি গণবণ্টনমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বিভিন্নস্তরের বৈঠক হয়েছে।

আরও পড়ুন- মাত্র একটা কথা! গান্ধীজি কীভাবে বদলে দিয়েছিলেন সবুজ বিপ্লবের জনকের জীবনের লক্ষ্য?

সরকারের যুক্তি

পালটা সরকারি আধিকারিকরা বলেছেন যে ৪০ শতাংশ রফতানি শুল্ক, পেঁয়াজ রফতানি নিয়ন্ত্রণ এবং অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের পর্যাপ্ত প্রাপ্তি নিশ্চিত করতেই বসানো হয়েছে। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, বর্তমানে স্বাভাবিকের চেয়ে কম পেঁয়াজ মজুত আছে। বছরের শুরুর দিকে অসময়ে বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টিতে মজুত প্রায় ৪০ শতাংশ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। দেশে পেঁয়াজের উৎপাদনও কমে গেছে। দেশে গত বছরে ২.৫৩ লক্ষ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে। তার তুলনায় এবছর ২.৩১ লক্ষ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে। তার ওপর এই ধর্মঘট। যার ফলে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।

Piyush Goyal onion price Maharashtra
Advertisment