/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/11/bank-deposit-explained.jpg)
গত কয়েক বছরে বিমাকৃত জমার পরিমাণ হ্রাস হয়েছে
পাঞ্জাব ও মহারাষ্ট্র সমবায় (পিএমসি) ব্যাঙ্ক ফেল পড়ার পর দেশে ব্যাঙ্কে জমা টাকার ওপর কম পরিমাণ বিমা নিয়ে বিতর্ক ফের শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার এখন বিমার টাকা তোলার পরিকল্পনা করছে। এ ব্যাপারে সংসদের চলতি অধিবেশনে আইন আনা হতে পারে।
বর্তমান সময়ে যদি ভারতে কোনও ব্যাঙ্ক ফেল পড়ে (যদিও সে সম্ভাবনা খুবই কম), তাহলে কোনও গ্রাহক তাঁর জমা একলক্ষ টাকার বিমা দাবি করতে পারেন। তাঁর জমা যদি এক লক্ষ টাকার বেশি হয়, তাহলেও ঊর্ধ্বসীমা ওই এক লক্ষ টাকাই থাকবে। ব্যাঙ্ক ফেল পড়লে এক লক্ষ টাকার বেশি উদ্ধার করার কোনও আইনি উপায় গ্রাহকের কাছে নেই।
আরও পড়ুন, বিশ্লেষণ: পেঁয়াজের দাম বাড়ছে কেন?
এই পরিমাণ অর্থ ডিপোজিট ইনশিওরেন্স বলা হয়ে থাকে। এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমা টাকা ফেরত দেবে ডিপোজিট ইনশিওরেন্স অ্যান্ড ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশন (ডিআইসিজিসি)। এই সংস্থা সম্পূর্ণ ভাবে ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মালিকানাধীন ভরতুকিপ্রাপ্ত সংস্থা। এই এক লক্ষ টাকার ডিপোজিটের উপর বিমার সুবিধে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক, আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাঙ্ক, স্থানীয় ব্যাঙ্ক ও সমবায় ব্যাঙ্ক যে কোনও ব্যাঙ্কেই মিলবে।
গত কয়েক বছরে বিমাকৃত জমার পরিমাণ হ্রাস হয়েছে। ২০০৭-০৮ সালে যে পরিমাণ ছিল ৬০.৫ শতাংশ, ২০১৮-১৯ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৮.১ শতাংশে।
২০১৯ সালের মার্চ মাসের শেষে, রেজিস্টার্ড বিমাকৃত ব্যাঙ্কের সংখ্যা ২০৯৮টি। এর মধ্যে ১০৩টি বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক, ১৯৪১ টি সমবায় ব্যাঙ্ক, ৫১টি গ্রামীণ ব্যাঙ্ক ও তিনটি লোকাল এরিয়া ব্যাঙ্ক রয়েছে।
আরও পড়ুন, বিশ্লেষণ: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (ক্যাব) পাশ করানোর জন্য কেন মুখিয়ে কেন্দ্র?
১৯৯৩ সালের ১ মে-তে ডিআইসিজিসি বিমাকৃত রাশির পরিমাণ ৩০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে এক লক্ষ টাকা করেছে। ১৯৮০ সাল থেকে ডিপোজিট করা অর্থের উপর এই বিমার সুবিধা পাওয়া যাবে।
ব্যাঙ্কে জমা রাখা প্রতি ১০০ টাকায় ১০ পয়সা করে চার্জ করে ডিআইসিজিসি। বিমাকৃত ব্যাঙ্কগুলিকে কর্পোরেশনকে প্রিমিয়ামের খরচ বহন করতে হয়, কোনও ভাবেই এই ব্যয়ভার গ্রাহকদের উপর চাপানো যায় না। ডিআইসিজিসি-র দেওয়া তথ্য অনুসারে ২০১৮-১৯ সালে ১১১৯০ কোটি টাকার প্রিমিয়াম দিয়েছিল বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিস অন্যদিকে সমবায় ব্যাঙ্কগুলি প্রিমিয়াম দিয়েছিল ৮৫০ কোটি টাকা।
সমবায় ব্যাঙ্কগুলির ক্ষেত্রে জমা টাকার ৪৪.৫ শতাংশ অর্থ ২০১৮-১৯ সালে বিমার আওতাধীন ছিল। বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে এই পরিমাণ ছিল ২৫.৭ শতাংশ। ভারতে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিতেই সবচেয়ে বেশি পরিমাণ অর্থ জমা রাখা হয়।