প্রায় আট বছর আগে, কৃত্রিম মিষ্টির উপাদান অ্যাসপার্টামের সঙ্গে যুক্ত সম্ভাব্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কে গ্রাহকরা তাঁদের উদ্বেগ জানিয়েছিলেন। প্রতিক্রিয়া হিসেবে পেপসিকো তার জনপ্রিয় ডায়েট সোডা থেকে উপাদানটি সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এতে পেপসির ডায়েট সোডার বিক্রি ব্যাপকহারে কমে যায়। একবছর পরে, অ্যাসপার্টাম তাই ডায়েট পেপসিতে ফিরে এসেছিল। আজ ডায়েট পেপসির ক্যান এবং বোতলগুলোর পিছনে ছোট প্রিন্টে তালিকাভুক্ত শীর্ষ তিনটি উপাদান হিসেবে লেখা থাকে জল, ক্যারামেল রঙ এবং অ্যাসপার্টাম।
এই সংস্থার প্রতিদ্বন্দ্বী ডায়েট কোকের ক্ষেত্রেও তাই। লেখা থাকে তিনটি উপাদানের নাম- জল, ক্যারামেল রঙ এবং অ্যাসপার্টামের নাম। এ তো গেল পেপসি আর কোকের কথা। মুদি দোকানের মাধ্যমে যেসব পণ্য বিক্রি হয়, যেমন- ডায়েট চা, চুইংগাম, চিনিমুক্ত মুড়ি, চিনিমুক্ত শক্তিবর্ধক পানীয় এবং ডায়েট লেমনেড পানীয়ের মিশ্রণ- সেসবের লেবেলেও কিন্তু এই অ্যাসপার্টাম উপাদানের কথা লেখা থাকে। বিভিন্ন মহলের অনুমান, বিভিন্ন পণ্যে এই অ্যাসপার্টাম থাকে। অর্থাৎ, ব্যবহার করা হয়। এর খরচ অল্প। আর, সহজে ব্যবহার করা যায়। তাই বিক্রেতাদের কাছে এই পণ্যের এত জনপ্রিয়তা বলেই বিভিন্ন মহলের ধারণা।
আরও পড়ুন- আরবের শেখের সঙ্গে বৈঠক, বিরাট প্রত্যাশা মোদীর, কে এই শেখ নাহিয়ান?
খাদ্য এবং পানীয়ের বিভিন্ন পণ্যে অ্যাসপার্টামের ব্যবহার, প্রায়শই ব্র্যান্ডের নামের সঙ্গে সমানভাবে উচ্চারিত হয়। এই মিষ্টজাতীয় পণ্যের পরিচিতি বিক্রেতা সমাজের কাছে নতুন কিছু নয়। অ্যাসপার্টামের নাম সর্বশেষ পুনরাবৃত্তির আকারে ঘুরেফিরে এসেছে বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই)। একে নিয়ে এত কথা বলার কারণও এটাই। বারবার অ্যাসপার্টামের নাম আলোচনায় উঠে আসার কারণ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষণা করেছে যে অ্যাসপার্টাম সম্ভবত ক্যানসারের কারণ হতে পারে। সেই কথা মাথায় রেখে যাঁরা অ্যাসপার্টাম-সহ উল্লেখযোগ্য বিভিন্ন পানীয় এবং পণ্য ব্যবহার করেন, তাঁদের অ্যাসপার্টামহীন পণ্য ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যদিও বিভিন্ন সংস্থা না-জানিয়েই তাদের পণ্যে অ্যাসপার্টাম ব্যবহার করে বলে অভিযোগ। সেই সব পণ্যের ক্ষেত্রে গ্রাহকরা কীভাবে সতর্ক থাকবেন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।