এবছর প্রচণ্ড গরমের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক লক্ষণগুলো দেখে মনে হচ্ছে, ভবিষ্যদ্বাণী মিলে যাবে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ- এই সময়কাল ছিল কোনও এক বছরের মধ্যে চতুর্থ উষ্ণতম শুরু। ২০১৬ সালের পর চলতি বছরের মার্চই ছিল দ্বিতীয় উষ্ণতম মাস। এপ্রিল ছিল চতুর্থ উষ্ণতম।
সামগ্রিকভাবে ভারতের জন্য ব্যাপারটা ভালো ছিল না। উপমহাদেশে চলতি বছর অত্যন্ত শুষ্ক হবে। খুব গরম পড়বে বলে আশা করা হয়েছিল। সেই মতো ফেব্রুয়ারিতে ভারতে তাপ-তরঙ্গের প্রভাব দেখা গিয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে ভারতে তাপ তরঙ্গ বইবে, এমন আশা আবহাওয়াবিদদের ছিল না। কারণ, সাধারণত তাপ তরঙ্গ এপ্রিল, মে এবং জুন মাসেই দেখা যায়। প্রত্যাশিতভাবেই এপ্রিল এবং মে মাসে দেশের বিভিন্ন অংশে ব্যাপক তাপ-তরঙ্গ প্রভাবিত হয়েছে।
পাশাপাশি, এপ্রিল মাসে মুম্বইয়ে এক মর্মান্তিক ঘটনায় কমপক্ষে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আবহাওয়া দফতর এরমধ্যেই স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। যদিও বর্ষা নিয়ে জনসাধারণের মনে বেশ আশঙ্কা আছে। নিরক্ষীয় প্রশান্ত মহাসাগরে এল নিনোর প্রভাব বাড়ছে। আগামী মাসগুলোয় এই প্রভাব আরও জোরদার হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর এতে, ভারতের বর্ষার মরশুম নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
আরও পড়ুন- নয়াদিল্লিতে প্রচণ্ড, ভারত-নেপাল সম্পর্ক কি আবার আগের অবস্থানে ফিরবে?
সবমিলিয়ে বলতে গেলে বছরের প্রথম পাঁচ মাস খুব একটা অস্বস্তিকর হয়নি। তাপপ্রবাহ বয়ে গিয়েছে বটে। কিন্তু, এপ্রিল আর মে- এই দুই মাসই দেশের বেশিরভাগ অঞ্চল আশ্চর্যজনকভাবে মনোরম পরিবেশ লক্ষ্য করেছে। দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে মার্চ থেকে মে- এই তিন মাসের মধ্যে গড় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম ছিল। শুধুমাত্র পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের কিছু অংশ এবং গুজরাট ও মহারাষ্ট্রের কিছু অংশে স্বাভাবিকের তুলনায় সামান্য বেশি তাপমাত্রা দেখা গেছে। বিহার, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর কিছু অংশ ব্যতীত প্রায় সমগ্র দেশে গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে আবার অনেক কম রয়েছে। সব মিলিয়ে, তাপমাত্রা তার চেনা ছবি থেকে কেমন যেন অনেকটাই বদলে গেছে।