/indian-express-bangla/media/media_files/Bt6vZq9tblBzW2sCYHKV.jpg)
Amit Shah-Bangladeshi: ঝাড়খণ্ডে অমিত শাহ জনসাধারণকে এমন একটি সরকার বেছে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, যে সরকার অনুপ্রবেশকারীদের বিতাড়ন করবে। (এক্সপ্রেস ফাইল ছবি)
Amit Shah on Bangladesh: 'বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী' ইস্যুতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বেলাগাম মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাল ঢাকা। ঝাড়খণ্ডে গিয়ে অমিত শাহ বলেছেন, আদিবাসী অধ্যুষিত রাজ্যের বাসিন্দাদের এমন এক সরকার গঠন করা উচিত, যারা অনুপ্রবেশকারীদের বিতাড়ন করবে। কার্যত ঝাড়খণ্ডে বাঙালিদের প্রতি বিদ্বেষ এভাবে 'অনুপ্রবেশকারী' ইস্যুকে হাতিয়ার করে চাগিয়ে চেষ্টা করায় শাহর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন বাঙালি সংগঠন।
পাশাপাশি, 'অনুপ্রবেশকারী' বা আরও ভালোভাবে বললে বাঙালি 'অনুপ্রবেশকারী'দের প্রসঙ্গ তোলায় পালটা সুর চড়িয়েছে ঢাকাও। তাদের এই সুর চড়ানোর কারণ, মোদী-শাহর নেতৃত্বাধীন সরকার বাংলাদেশ থেকে 'অনুপ্রবেশকারী'দের প্রবেশ ইস্যুতে সবচেয়ে বেশি সরব। বাংলাদেশ অবশ্য, সেদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশকারীদের প্রবেশের অভিযোগ মানতে নারাজ। বাংলাদেশের পালটা বক্তব্য, এই ব্যাপারে মিথ্যে অভিযোগ করছেন মোদী-শাহরা। যাঁরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাচ্ছেন, সকলেই ভিসা-পাসপোর্ট নিয়েই ইন্ডিয়ায় প্রবেশ করছেন। আবার, সময় বা বিধি মেনে তাঁরা বাংলাদেশে ফিরেও আসছেন। এমনটাই দাবি ঢাকার।
- শাহ ঝাড়খণ্ডের সভায় ওই বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন।
- ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারের কাছে প্রতিবাদপত্র জমা দিয়েছে ঢাকা।
- কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বাঙালি-বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগ করেছে বিভিন্ন বাঙালি সংগঠন।
শাহর মন্তব্যের প্রতিবাদে সোমবার ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের কাছে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। ঠিক কী বলেছেন শাহ, যার জন্য বাংলাদেশের এত প্রতিবাদ? ঝাড়খণ্ডে গিয়ে শাহ এক সভায় অভিযোগ করেছেন, ক্ষমতাসীন জেএমএম-কংগ্রেস জোট অনুপ্রবেশকারীদের আদিবাসী অধ্যুষিত রাজ্যে প্রবেশে উৎসাহ দিচ্ছে। এর ফলে এমন একদিন আসবে যেদিন অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরাই ঝাড়খণ্ডে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে যাবে। আগামী ২৫-৩০ বছরের মধ্যেই এমনটা ঘটবে বলে শাহ ওই সভায় আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
শাহ যা বলেছেন
এই প্রসঙ্গে শুক্রবার শাহ বলেন, 'আমাকে বলুন এই জমি আদিবাসীদের নাকি রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের? ঝাড়খণ্ডকে কেউ বাঁচাতে পারবে না, জেএমএম বা কংগ্রেসও নয়। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই ঝাড়খণ্ডকে বাঁচাতে পারেন।' শাহর সেই বক্তব্যেরই প্রতিবাদে, বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারের কাছে রাজনৈতিক নেতাদেরকে এই ধরনের কুৎসা করা থেকে বিরত করার জন্য ভারত সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন- ফের বাড়ছে বেতন? ৮ম পে কমিশন নিয়ে উদ্যম কেন্দ্রর
বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক বলেছে যে তারা বাংলাদেশে ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনার পবন বাধে-এর কাছে একটি প্রতিবাদপত্র জমা দিয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্যে যে তাদের গুরুতর আপত্তি রয়েছে, তারা যে গভীর আঘাত পেয়েছে এবং চরম অসন্তুষ্ট, প্রতিবাদপত্রে সেকথাই জানিয়েছে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক।