scorecardresearch

Explained: ইদ উল আযহা এবং ইদ উল ফিতরের মধ্যে পার্থক্য কি?

বিশ্বজুড়ে পালিত হয় এই সব উৎসব।

Eid al Adha and Eid al Fitr

বিশ্বজুড়ে মুসলমান সম্প্রদায় ইদ উল আযহা পালন করলেন। যা ইসলামের দুটি প্রধান উদযাপনের একটি। অপরটি হল ইদ উল ফিতর। বর্তমান উত্সবটি ইব্রাহিমের চূড়ান্ত আত্মত্যাগের প্রতীক বলে মনে করা হয়। হিব্রু গ্রন্থে ইব্রাহিমকেই আব্রাহাম বলা হয়েছে। আল্লাহ বা ঈশ্বরের প্রতি তাঁর ভালবাসা এবং ভক্তি প্রদর্শন করার জন্য। অপরটি পবিত্র মাস রামাদান বা রমজানের উপবাসের সমাপ্তি চিহ্নিত করতে পালিত হয়।

এই দুই ইদের নামের ভারতীয় রূপও রয়েছে। যেমন, ইদ উল ফিতরকে ‘মিঠা ইদ’ বলা হয়। কারণ, সেওয়াইয়ান (ভার্মিসেলি পুডিংয়ের একটি রূপ) বা মিষ্টি খাবারের ওপর তা এই ইদে প্রাথমিক মনোযোগ কেন্দ্রীভূত থাকে। যেখানে পরিবার এবং বন্ধুদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি, ইদ উল আযহাকে বকরিদ বা বকরি ইদও বলা হয়। কারণ ভেড়া অথবা অন্য পশু বলি দেওয়া হয়। যা দেবতাদের কাছে একটি পবিত্র নৈবেদ্য হিসেবে বিবেচিত হয়।

অনেকেরই জানা। তবুও, যাঁরা বকরিদের কাহিনিটি জানেন না, তাঁদের জন্য বলা। এই গল্প হল ঈশ্বরের আদেশে তাঁর পুত্র আইজ্যাকের- চূড়ান্ত বলিদানে আব্রাহামের রাজি হওয়ার একটি গল্প। হিব্রু বাইবেল, জেনেসিস ২২ অনুসারে, ঈশ্বর আব্রাহামের পুত্রকে মোরিয়া পর্বতে বলি দিতে বলেছিলেন। আব্রাহাম ছিলেন সম্পূর্ণরূপে ঈশ্বরের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ। তিনি ঈশ্বরের আদেশ পালন করা শুরু করেছিলেন। সেই সময় তাঁর পুত্রের বদলে অলৌকিকভাবে একটি মেষশাবক প্রতিস্থাপিত হয়।

কোরানে, রেফারেন্সটি সুরা ৩৭-এ (সুরা এবং সাফফাত নামে পরিচিত) এসেছে। যেখানে এই গল্পটিতে ইব্রাহিম এবং তার পুত্র ইসমাইলের কথা আছে। সারা বিশ্বের মুসলিম অনুসারীরা আল্লাহর প্রতি তাদের ভক্তি দেখানোর জন্য এই আচরণগত এবং প্রতীকী বলিদান অনুসরণ করেন। মহম্মদ ইলিয়াস প্যাটেল সাহেব তাঁর ‘দ্য স্পিরিট অফ কোরবানি’ গ্রন্থে বলেছেন, ‘আমাদের মধ্যে এই আত্মত্যাগের চেতনা জাগ্রত করার জন্য, ইদ উল আযহা উপলক্ষে একটি পশু কোরবানি করে ইব্রাহিমের এই আত্মত্যাগ অনুসরণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে ব্যক্তি কোরবানি করবেন, তাঁর জন্যও মহান পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।’

এই আচারটি হাদিসে আরও বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। যা নির্দেশ করে যে ছাগল কোরবানিকারী ব্যক্তি বা পরিবার মাংসের এক-তৃতীয়াংশ রাখবে। অপর ভাগ বন্ধু, পরিবার এবং প্রতিবেশীদের দেওয়া হবে। আর, বাকিটা বিতরণ করতে হবে দরিদ্র এবং অভাবীদের মধ্যে। এর সঙ্গে রমজান এবং ইদ উল ফিতরের সময় অনুসৃত জাকাতের রীতির কিছুটা মিল আছে। যেখানে মুসলমানদের তাদের বার্ষিক সঞ্চয়ের ২.৫ শতাংশ বা ৪০ ভাগের ১ ভাগ অভাবগ্রস্তদের দিতে হয়।

আরও পড়ুন- ডন আতিকের সাম্রাজ্যের খতম: কীভাবে ভিন্নমতকে নির্মূল করার রাজনীতি চালাচ্ছেন যোগী?

ইদ উল আযহার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল এটি সৌদি আরবের মক্কায় হজ যাত্রার সমাপ্তিও চিহ্নিত করে। এই হজ যাত্রা মুসলমানদের জন্য কাবার পবিত্র স্থানে একটি বাধ্যতামূলক ধর্মীয় যাত্রা। এটা বিশ্বাস করা হয় যে, হজযাত্রা শেষ করার পরে তাঁদের পাপ ধুয়ে যায়। আর, তারপরে তাঁদের হাজি হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

Stay updated with the latest news headlines and all the latest Explained news download Indian Express Bengali App.

Web Title: Differences between eid al adha and eid al fitr