Advertisment

নির্বাচন কমিশনে ভিন্নমত: আইন কী বলে

একদম শুরুতে, ভারতের নির্বাচন কমিশন গঠিত হত কেবলমাত্র মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে। ১৯৮৯ সালের ১৬ অক্টোবর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার আরও দুজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করেন। 

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Election Commission

ধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের মধ্যে অন্তত চারটি নিয়ে অশোক লাভাসার দ্বিমত ছিল

নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা নির্বাচনী বিধিভঙ্গ নিয়ে অন্তত পাঁচটি বিষয়ে কমিশনের অন্য সদস্যদের থেকে ভিন্নমত পোষণ করেছেন।

Advertisment

এই পাঁচটির মধ্যে চারটি ক্ষেত্রই ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে।

১৯৯১ সালের নির্বাচন কমিশন আইনের ১০ নং ধারায় বলা বয়েছে, নির্বাচন কমিশনের সমস্ত সিদ্ধান্ত যতদূর সম্ভব সহমতের ভিত্তিতে গ্রহণ করতে হবে।

তবে আইনে ভিন্নমতের কথাও রয়েছে। বলা রয়েছে, যদি মুখ্য নির্বাচন কমিশন এবং কমিশনের অন্য় সদস্যরা কোনও বিষয়ে একমত না হন, তাহলে সে বিষয়টি নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।

মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং কমিশনের সদস্যদের নিয়োগ করেন দেশের রাষ্ট্রপতি। এঁদের সময়কাল হয় ৬ বছর অথবা ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত। দেশের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের মতই বেতন এবং একই রকমের সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন এঁরা।

বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা ছাড়া রয়েছেন নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা এবং সুশীল চন্দ্রা। কমিশনের কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তিনজনের মতামতই সম গুরুত্বের।

সংবিধানের ৩২৪ নং অনুচ্ছেদে বলা রয়েছে, "নির্বাচনের দেখভাল, দিকনির্দেশ এবং নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকবে নির্বাচন কমিশন।"

তবে নির্বাচন কমিশনের আয়তন নিয়ে সংবিধানে কিছু বলা নেই। সংবিধানের ৩২৪(২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনে থাকবেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার, এবং অন্য কমিশনাররা, যাঁদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন রাষ্ট্রপতি।

একদম শুরুতে, ভারতের নির্বাচন কমিশন গঠিত হত কেবলমাত্র মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে। ১৯৮৯ সালের ১৬ অক্টোবর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার আরও দুজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করেন।

নবম সাধারণ নির্বাচনের অব্যবহিত আগে এই নিয়োগ করা হয়। এই নিয়োগ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। বলা হয়েছিল মুখ্য নির্বাচন কমিশনার আরভিএস পেরি শাস্ত্রী এবং নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা খর্ব করা হচ্ছে।

১৯৯০ সালের ২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী ভিপি সিংয়ের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ফ্রন্ট সরকার আইন সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনকে এক সদস্যের করে দেয়।

এরপর ১৯৯৩ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসীমা রাওয়ের নেতৃত্বাধীন সরকার একটি অর্ডিন্যান্স জারি করে আরও দুজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের সংস্থান করে দেয়।

ওই অর্ডিন্যান্স পরে ১৯৯৩ সালের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার আইন দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। এই আইন কার্যকর হয় ১৯৯৪ সালের ৪ জানুয়ারি।

Read the Story in English

election commission Explained
Advertisment