/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/12/Election-Deposit.jpg)
হিমাচল প্রদেশ ও গুজরাট বিধানসভা নির্বাচন সদ্যই শেষ হয়েছে। সমস্ত নির্বাচনের মতই এখানেও বিপুল ব্যবধানে জয়ী প্রার্থীরা রয়েছেন। আবার এমন প্রার্থীরাও আছেন, যাঁদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। অর্থাৎ, যাঁদের ভোটাররা প্রত্যাখ্যান করেছেন। এই জামানত হারানোর ব্যাপারটা কী?
প্রার্থীর জামানত
জামানত হল নির্বাচনী নিরাপত্তাজনিত নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ। যা রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দিতে হয়। একজন প্রার্থী এই অর্থ জমা দেন। এটি নগদে জমা দিতে হয়। অথবা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে একটি রসিদজুড়ে জমা দেওয়া যায়। সেই রসিদে লেখা থাকে যে উল্লিখিত অর্থ প্রার্থীর হয়ে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকে বা সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়েছে। শুধুমাত্র সত্যিকারের ইচ্ছুক প্রার্থীরাই যাতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে মনোনয়ন দাখিল করতে পারেন, সেই কথা মাথায় রেখেই জামানত জমা করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
জামানতের পরিমাণ কী সর্বত্র সমান?
না, এটি নির্দিষ্ট নির্বাচনের ওপর নির্ভর করে। ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে নির্বাচনের স্তরের ওপর নির্ভর করে জামানতের পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে। লোকসভা এবং রাজ্যসভার ক্ষেত্রে এই জামানতের পরিমাণ ২৫,০০০ টাকা। তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের ক্ষেত্রে জামানতের পরিমাণ ১২,৫০০ টাকা। বিধানসভা বা পরিষদীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে জামানতের পরিমাণ ১০,০০০ টাকা। তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য এই ক্ষেত্রে জামানতের পরিমাণ ৫,০০০ টাকা। রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে জামানতের পরিমাণ ১৫,০০০ টাকা।
কখন একজন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়?
আইন অনুযায়ী, কোনও নির্বাচনে প্রার্থীর বৈধ ভোটের সংখ্যা মোট বৈধ ভোটের ছয় ভাগের মধ্যে একভাগেরও কম হলে, জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। অথবা, একাধিক ব্যক্তির জামানত বাজেয়াপ্ত করার ক্ষেত্রে মোট ভোটদানকারীদের ছয় ভাগের একভাগ। তাকে প্রার্থীর সংখ্যা দিয়ে ভাগ করলে যা হয়, তার চেয়ে কম ভোট পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। রাজ্যসভার ক্ষেত্রে আবার এটা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি দ্বারা নির্বাচনকে বোঝায়। আর, শর্ত পূরণ করলে, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জামানত ফেরত দেওয়া হয়। আর, যদি কোনও প্রার্থী তাঁদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন, অথবা ভোটের আগেই মারা যান, সেক্ষেত্রেও জামানতের অর্থ ফেরত দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- ব্যবহারকারীদের তথ্য, ছবি ও সার্চিং নিয়ন্ত্রণ করেছে টুইটার, রুখতে কী ব্যবস্থা কেন্দ্রের?
আর, এই আইনেই যদি একটি সাধারণ নির্বাচনে প্রার্থী একাধিক সংসদীয় নির্বাচনী এলাকায় বা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তবে একটির বেশি জামানত ফেরত দেওয়া হয় না। বাকিগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়।
Read full story in English