GN Saibaba: দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক জিএন সাইবাবাকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করল বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ। মাওবাদী যোগ সন্দেহে তাঁকে এবং আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁদেরও বেকসুর খালাস ঘোষণা করেছে আদালত। বিচারপতি বিনয় জি জোশী ও বিচারপতি বাল্মীকি এসএ মেনেজিসের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।
- বেকসুর খালাস ঘোষণা করেছে বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ।
- প্রাক্তন অধ্যাপকের সঙ্গে ধৃত বাকিদেরও খালাস ঘোষণা করা হয়েছে।
- নিম্ন আদালত পাঁচ জনকে যাবজ্জীবন, একজনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছিল।
সুপ্রিম কোর্টের পথে সরকার
এর আগে ২০১৭ সালে মহারাষ্ট্রের গঢ়চিরোলির জেলা আদালত সাঁইবাবা ও ধৃত অন্যান্যদের দোষী সাব্যস্ত করেছিল। সেই রায়ের বিরুদ্ধেই উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রাক্তন অধ্যাপক ও অন্যান্যরা। এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর নাগপুর ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলায় রায়দান বন্ধ রেখেছিল। সরকারপক্ষের আইনজীবী অবশ্য হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন।
সাঁইবাবার সঙ্গে কারা আবেদন করেছিলেন?
জিএন সাঁইবাবা ছাড়াও গঢ়চিরোলি আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন মহেশ করিমন তিরকি, হেম কেশবদত্ত মিশ্র, পান্ডু পোরা নরোতে ও প্রশান্ত রাহি। এর পাশাপাশি আবেদন করেছিলেন বিজয় তিরকিও। ২০১৭ সালে, মার্চ মাসের রায়ে এঁদের মধ্যে বিজয় তিরকি ছাড়া বাকি পাঁচ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। বিজয় তিরকি প্রথমবারের অপরাধী হওয়ায় তাঁকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন- শত্রুতার অবসান? দিল্লিতে পালিত হবে পাকিস্তানের জাতীয় দিবস!
বারবার জামিন
সাঁইবাবা ও অন্যান্য অভিযুক্তদের ২০১৩-১৪ সালের মধ্যে মহারাষ্ট্রের গঢ়চিরোলি পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযোগ ছিল, ধৃতরা নিষিদ্ধ কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মাওবাদী) এবং সেই সংগঠনের ফ্রন্টাল গ্রুপ ভোলিউশনারি ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের সদস্য। পুলিশ জানিয়েছে, সাইবাবার বাড়ি থেকে অনেক নথি, একটি হার্ডডিস্ক এবং পেনড্রাইভ বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ২০১৫ সালের মে মাসে স্বাস্থ্যগত কারণে বম্বে হাইকোর্ট অধ্যাপক সাঁইবাবাকে জামিন দেয়। তার আগে পর্যন্ত তিনি কারাগারেই ছিলেন। পরে তাঁকে ফের জেলে পাঠানো হয়। কিন্তু, ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্ট ফের অধ্যাপক সাঁইবাবাকে জামিন দেয়। তারপরও অবশ্য অধ্যাপক সাঁইবাবাকে ২০২১ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রামলাল আনন্দ কলেজ বরখাস্ত করে। এই পরিস্থিতিতে বারবার অধ্যাপক সাঁইবাবার মুক্তির দাবিতে সরব হয়েছিল তাঁর পরিবার।