শুক্রবার (৭ জুলাই) ডাচ (নেদারল্যান্ডস) সরকারের পতন ঘটেছে। কারণ, সরকারের জোটশরিকরা অভিবাসন নীতির ব্যাপারে একমত হতে পারেনি। ইউরোপে আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। সেই নিয়ে গোটা ইউরোপ দ্বিধাবিভক্ত। নেদারল্যান্ডও তার থেকে বাদ যায়নি। আর, তা-ই নিয়েই নেদারল্যান্ডের শরিক দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য দেখা দিয়েছে।
পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন রুট
নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট। তিনি এই নিয়ে চতুর্থবার নেদারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। এককথায় ইউরোপের যে নেতারা দীর্ঘদিন নিজেদের দেশে প্রধানমন্ত্রীর মত গুরুত্বপূর্ণ আসনে বসে আছেন, রুট তাঁদের অন্যতম। শরিকরা একমত হতে না-পারায় রুট শুক্রবার সাংবাদিকদের জানান, তিনি রাজার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন।
রুটের মতপার্থক্য
শুক্রবার হেগে সাংবাদিকদের রুট বলেন, 'এটা কোনও গোপন ব্যাপার না। জোটের অংশীদারদের অভিবাসন নীতিতে ভিন্ন মত রয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, আজ আমাদের এই উপসংহার টানতে হবে যে এই পার্থক্যগুলো মিটছে না।' রুটের এই বক্তব্যেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে সরকারের মতপার্থক্য আসন্ন শরত্কালেই নতুন সাধারণ নির্বাচনের সূত্রপাত করতে চলেছে। আর, রুটের নেতৃত্বে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাচন না-হওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে।
কিছুদিন ধরেই সমস্যায় রুটের সরকার
যুদ্ধ শরণার্থী শিশুদের প্রবেশ সীমিত করা। জোট সরকারের দলগুলোর অভিবাসন। পারিবারিক পুনর্মিলনের শর্তাদি নিয়ে বিতর্ক। আশ্রয়ের দুটি শ্রেণি (এর মধ্যে একটা শ্রেণি হল- অস্থায়ী দ্বন্দ্ব থেকে পালিয়ে আসা লোকদের জন্য। অন্যটি- স্থায়ীভাবে নিপীড়ন থেকে পালিয়ে আসা লোকদের জন্য।) তৈরি করার ব্যাপারে মতানৈক্য।
আরও পড়ুন- গুজরাট হাইকোর্টে রাহুল গান্ধীর আবেদন খারিজ, অর্থটা কী দাঁড়াল?
রুটের অস্বীকার
ডাচ সংবাদ সংস্থাগুলো জানিয়েছে যে রুট যুদ্ধ শরণার্থী ও তাদের শিশুদের নেদারল্যান্ডে আশ্রয়গ্রহণের পথ সীমিত করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। যাঁরা ইতিমধ্যেই নেদারল্যান্ডসে আছেন তাঁরা যাতে দু'বছর থাকার পর তাঁদের পরিবার নিয়ে নেদারল্যান্ডে চলে আসতে না-পারেন, তেমনটাই চেয়েছিলেন রুট। যদিও বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এই সব রিপোর্টগুলো অস্বীকার করেছেন।