ব্যবসা করার ক্ষেত্রে সহজ ক্ষেত্র হিসেবে বিশ্বব্যাঙ্কের তালিকায় ভারত নিজের অবস্থান উন্নীত করেছে। ওয়ার্লড ব্যাঙ্কস গ্লোবাল ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস ক্রমপর্যায়ে ১৪ ধাপ উঠে এসে ১৯০টি দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান একন ৬৩তম। ওয়ার্লড ব্যাঙ্ক বলেছে ব্যবসা ক্ষেত্রে সংস্কার পদ্ধতি চালিয়ে রেখেছে ভারত।
২০১৮-১৯ সালে ভারত ৫৯টি সংস্কার করেছে যা সারা বিশ্বের মধ্যে পঞ্চম। ওয়ার্লড ব্যাঙ্ক তাদের একটি প্রকাশনায় এ কথা জানিয়েছে।
ভারতে ওয়ার্লড ব্যাঙ্কের কান্ট্রি ডিরেক্টর জুনেইদ আহমেদ বলেছেন, "দেশের শীর্ষ নেতারা ব্যবসা সংস্কারের ব্যাপারে বিশেষ নজর দিয়েছেন, এবং ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন, যা শুধু কেন্দ্রীয় স্তরে সীমাবদ্ধ থাকেনি, পৌঁছিয়েছে রাজ্য স্তরেও। এর ফলে ভারত তাৎপর্যপূর্ণ উন্নতি ঘটাতে সক্ষম হয়েছে।"
এই সংস্কারগুলি কী?
এই এক বছরে ভারতে ব্যবসা শুরু করা সহজ হয়ে গিয়েছে। দিল্লিতে নির্মাণের অনুমতি পাওয়ার খরচ এবং সময় কমানো হয়েছে এবং বাড়ি বানানোর ব্যাপারে পারমিট পাওয়ার জন্য সময় ও খরচ কমানো হয়েছ। এছাড়া মুম্বইতে বাড়ি বানানোর পারমিট পাওয়া দ্রুততার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে মুম্বইয়ের বাড়ি বানানোর পারমিট পাওয়ার সময় কমানো হয়েছে এবং নির্মাণের পারমিট পাওয়ার খরচ কমানো হয়েছে।
সীমান্ত বাণিজ্য সহজ করার ব্যাপারে তাদের প্রচেষ্টা এবং দেউলিয়া বিষয়ে সমাধানের ব্যাপারে তাদের প্রচেষ্টা পর্যায়ক্রম উন্নীত করায় সাহায্য করেছে।
২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বের প্রথম ৫০টি অর্থনীতির মধ্যে পৌঁছনো সরকারের লক্ষ্য।
সমস্যার জায়গাগুলো কোথায়?
চুক্তি লাগু করা এবং সম্পত্তির নথিকরণ, এদুটি জায়গায় ভারত এখনও শ্লথ। ওয়ার্লড ব্যাঙ্কের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্পত্তি নথিকরণ করতে ৫৮ দিন সময় লাগে এবং খরচ হয় সম্পত্তির মোট পরিমাণের ৭.৮ শতাংশ। ওইসিডি ভুক্ত উচ্চ আয়ের অর্থনীতির দেশগুলিতে এই সময় ও খরচ তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম। এ ছাড়া স্থানীয় আদালতে কোনও বাণিজ্যিক সমস্যা সমাধান করতে এ দেশে সময় লাগে ১৪৪৫ দিন, যা ওইসিডি ভুক্ত উচ্চ আয়ের অর্থনীতির অন্য দেশগুলির তিনগুণ।
Read the Full Story in English