এ বছরই শতবর্ষে পা দিয়েছে ময়দানের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু ক্লাবের স্পনসর কোয়েস কর্প চুক্তি শেষ করে দেওয়ায় স্পনসর সমস্যায় জর্জরিত ছিল লাল-হলুদের তাঁবু। অনিশ্চিত ছিল লিগের খেলাও। সেই আবহে সমস্যা সমাধান করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্লাবের জন্য এনে দিলেন নতুন স্পনসর শ্রী সিমেন্ট। ইস্টবেঙ্গলের মতো ক্লাবকে স্পনসর পাইয়ে দেওয়া কি ২০২১-এর নির্বাচনে মমতার হাতে রাজনৈতিক পুরস্কার তুলে দেবে?
নির্বাচনের সঙ্গে এই স্পনসর পাইয়ে দেওয়ার কী সম্পর্ক?
না ইস্টবেঙ্গলের স্পনসর পাওয়ার সঙ্গে রাজনীতির সরাসরি কোনও যোগ নেই। তবে এক ইস্টবেঙ্গল কর্তার মত ফুটবল হল বাঙালির একটা সংস্কৃতির জায়গা। ভরাভুবি দলকে স্পনসর এনে দিয়ে মমতা লাল-হলুদ টিমের ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (আইএসএল)-এ খেলা নিশ্চিত করেছেন। অতএব মমতার প্রতি ইস্টবেঙ্গল ফ্যানদের আলাদা শ্রদ্ধার জায়গা তৈরি হওয়া স্বাভাবিক।
রাজ্যের কোন অঞ্চলে এই ঘটনা প্রভাব ফেলতে পারে?
ক্লাবের হিসেব বলছে ইস্টবেঙ্গলের অনুরাগীর সংখ্যা প্রায় তিন কোটি। যাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই উত্তরবঙ্গে থাকেন। দেশভাগের পর থেকে উত্তরবঙ্গ ইস্টবেঙ্গলের একটা বড় স্তম্ভ, সমর্থনের দিক থেকে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়ও বড় সংখ্যক মানুষ বাংলাদেশ থেকে উত্তরবঙ্গে বসবাস করেন। ২০১৯ সালে লোক সভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস আটটি আসনের মধ্যে একটি আসনেও জয়লাভ করতে পারেনি, বাকি সাতটি আসনে জিতেছে বিজেপি এবং একটি কংগ্রেস।
রাজ্যের অন্যান্য এলাকায় কতটা প্রভাব পড়তে পারে?
মমতার এই উদ্যোগ ইস্টবেঙ্গল ফ্যানদের মনে দাগ কাটতে পারে। বাংলার ফুটবল মানেই ঘটি-বাঙালের লড়াই। ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকেরা মূলত শহরতলী ভিত্তিক হন, মোহনবাগান সমর্থকেরা অনেকটাই শহরের।
ইস্টবেঙ্গল কেন সমস্যার মধ্যে পড়েছিল?
২০১৮ সালে কোয়েস কর্পের হাতে নিজেদের ক্লাবের ৭০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করেছিল ইস্টবেঙ্গল। ২০১৯ সালে হঠাৎই ইস্টবেঙ্গলের কাছে কোয়েসের তরফে একটি চিঠি পাঠান হয়ে যেখানে বলা হয় ২০২০ সালের ৩১ মে থেকে তাঁরা এই চুক্তি আর চালিয়ে নিয়ে যাবে না। শুধু ক্লাব নয় বিদেশি প্লেয়ারদের সঙ্গেও চুক্তি থামিয়ে দেয় কোয়েস। যা নিয়ে তোলপাড় হয় ময়দান। ক্লাবের অ্যাসিস্টেন্ট জেনারেল সেক্রেটারি ডা শান্তি রঞ্জন দাশগুপ্ত বলেন যে তিন বছরের মধ্যে ইস্টবেঙ্গল আইএসএল না খেললে সংস্থা স্পনসর বন্ধ করে দেবে এমন বার্তাও দেয় কোয়েস কর্প।
ভক্তদের প্রতিক্রিয়া কেমন?
বুধবার মমতা রাজ্য সচিবালয়ে নতুন বিনিয়োগকারীর সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের জোট বেঁধে দেওয়ার ঘোষণা করার পর টিভি ক্যামেরায় ক্লাবের তাঁবুর বাইরে কিছু লাল-হলুদ ভক্তদের দেখানো হয়। ক্লাবের এই স্পনসর পাওয়ার খবরে তাঁরা "জয় ইস্টবেঙ্গল, জয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়" বলে জয়ধ্বনি দিতে থাকেন।
তবে শুধু ইস্টবেঙ্গলই নয় ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই স্পোর্টিং সংস্থাগুলিকে অর্থসাহায্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বছর রাজ্যের ৪ হাজার ৩০০টি ক্লাবকে ২ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছিলেন তিনি। তৃণমূল সুপ্রিমো এও জানিয়ে দেন যে কোনও ক্লাবের আর্থিক সাহায্য লাগলে বার্ষিক অডিট রিপোর্ট জমা দিলেই আগামী তিন বছর সেই ক্লাবকে সাহায্য ক
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন