গত মাসেই বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়েছিল। আইএমএফের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ৪.৫ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ৩৭,০০০ কোটি টাকা) অর্থনৈতিক সহায়তা পাবে। এটি আর্থিক ক্ষেত্রে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, ২০২০ সালেই গড় আয়ে ভারতকে ছাপিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, ২০১৭-র পর থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতি ব্যাপক উন্নতিও করেছিল। কিন্তু, তারপর বাংলাদেশের অর্থনীতি ফের পিছু হাঁটা শুরু করেছে। এটা আর্থিক সহায়তা চাওয়ার মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়েছে।
রাজনৈতিক প্রতিবাদ
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকারের ক্রমবর্ধমান আর্থিক দুর্দশাকে সামনে রেখে প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সমগ্র বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। বিএনপির আশা, এতে আওয়ামি লিগের সরকার এবং তার নেত্রী তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোণঠাসা হয়ে পড়বেন। গত এক দশকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে হাসিনা ব্যাপক আধিপত্য বিস্তার করেছেন।
বাংলাদেশের আর্থিক সমস্যা
যদি কেউ গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট বা জিডিপি বা মোট জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধির দিকে তাকায়, তাহলে কিন্তু সমস্যাটা বোঝা যাবে না। বাংলাদেশের জিডিপি বেশ ভালো। এমনকী, করোনা অতিমারির সময়েও বিশ্বের অনেক দেশ যখন সমস্যায়, সেই সময়ও বাংলাদেশের জিডিপি বেড়েছে। ২০২০ সালে তা ৩.৪% বৃদ্ধি পেয়েছে, ২০২১ সালে ৬.৯% বেড়েছে। এমনকী, ২০২২ সালেও ৭.২% বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু, বাংলাদেশের সমস্যাটা অন্যত্র। আইএমএফ জানিয়েছে, 'অতিমারী থেকে বাংলাদেশের আর্থিক পুনরুদ্ধার ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার কারণে বাধা পেয়েছে। যার জেরে চলতি আর্থিক বছরে ঘাটতি তীব্রভাবে বেড়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় কমেছে। মুদ্রাস্ফীতি ব্যাপক বেড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আর্থিক বৃদ্ধি।'
আরও পড়ুন- আসানসোল-কাণ্ডে শুভেন্দুকে প্যাঁচে ফেলতে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য, কী জানাল আদালত?
ব্যাপক বেড়েছে মুদ্রাস্ফীতি
এর মধ্যে মূল্যস্ফীতি অস্বস্তিকর পর্যায়ে পৌঁছেছে, কারণ সব ধরনের পণ্যের পিছনেই অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধি প্রভাব ফেলেছে। নভেম্বরে বাংলাদেশে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৮.৮৫%। অথচ, ২০২১ সালের নভেম্বরে এই মুদ্রাস্ফীতিরই পরিমাণ ছিল ৫.৯৮%। সেই নভেম্বরে শেষ হওয়া একবছরের হিসেবে বাংলাদেশে মুদ্রাস্ফীতি ৭.৪৮% বেড়েছে। অথচ, একবছর আগে এই সময়ে, অর্থাৎ ২০২১ সালের নভেম্বরে শেষ হওয়া একবছরে এই মুদ্রাস্ফীতিরই পরিমাণ ছিল ৫.৪৮%।
Read full story in English