বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ২০১৮-১৯-এর অর্থনৈতিক সমীক্ষায় দেশের বর্তমান ন্যূনতম মজুরি ব্যবস্থার কাঠামোর পুনর্বিন্যাসের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। যে বিন্যাসের সঙ্গে সাযুজ্য থাকবে গত বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত মজুরি বিলের নয়া সংস্করণের সঙ্গে।
বর্তমানে ন্যূনতম মজুরির হার নির্ধারিত হয় দক্ষতার মাপকাঠি, ভৌগোলিক অঞ্চল এবং কাজের ধরণের উপর ভিত্তি করে। যার ফলে দেশে ন্যূনতম মজুরির হারের ব্যাপক প্রকারভেদ ঘটেছে এবং তার প্রয়োগ ও রূপায়ণও হয়ে উঠেছে দুরূহ। মজুরি বিলের নয়া সংশোধিত সংস্করণের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সমীক্ষার প্রস্তাব, ন্যূনতম মজুরির হার নির্ধারিত হোক হয় দক্ষতার মাপকাঠির (অদক্ষ, আধা-দক্ষ, দক্ষ এবং চূড়ান্ত দক্ষ) উপর, অথবা ভৌগোলিক অঞ্চলভেদে, অথবা উভয়কেই বিবেচনায় রেখে। কাঠামোর এই সরলীকরণের ফলে দেশে বর্তমানে চালু ন্যূনতম মজুরি-হারের সংখ্যা ২৫০০ থেকে ৩০০-য় নেমে আসবে বলে সমীক্ষায় আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত নয়া কাঠামোয় সরকার একটি 'জাতীয় ন্যূনতম মজুরি' নির্দিষ্ট করে দেবে, যা সমীক্ষায় চিহ্নিত পাঁচটি ভৌগোলিক অঞ্চল অনুযায়ী পরিবর্তনশীল। রাজ্যগুলির কাছে অবশ্য স্বাধীনতা থাকবে মজুরির হার বাড়ানোর। সমীক্ষার সুপারিশ অনুযায়ী, ন্যূনতম মজুরির হারের নিয়মিত তারতম্য ঘটবে রাজ্যের শিল্প-শ্রমিকদের ভোক্তা মূল্য সূচক (কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স) অনুযায়ী এবং অর্থনীতির সংগঠিত বা অসংগঠিত সমস্ত ক্ষেত্রেই রূপায়িত করতে হবে এই হার।
সমীক্ষার বক্তব্য, "কাঠামোর এই প্রস্তাবিত পুনর্বিন্যাস দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ন্যূনতম মজুরির ক্ষেত্রে সমতা আনবে এবং শ্রমিকদের মজুরির উপর বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সব রাজ্যকেই সমান কাঙ্খিত করে তুলবে শিল্পনির্মাণের নিরিখে।"