Salman Khurshid ED: এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) চলতি সপ্তাহে অভিযোগ করেছে যে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সলমন খুরশিদের স্ত্রী লুইস খুরশিদ ও অন্য দু'জন একটি ট্রাস্টের মাধ্যমে তাঁদের ব্যক্তিগত লাভের জন্য প্রতিবন্ধীদের উদ্দেশ্যে ব্যয় করা কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিলের ৭১.৫০ লক্ষ টাকা 'পাচার' করেছেন। ইডি অস্থায়ীভাবে উত্তরপ্রদেশের ফারুখাবাদে কৃষি জমির ১৫টি নথি এবং তহবিল তছরুপ আইনের (PMLA) অধীনে সলমন ও লুইস খুরশিদ পরিচালিত ড. জাকির হোসেন মেমোরিয়াল ট্রাস্টের ৪৫.৯২ লক্ষ টাকা মূল্যের কিছু ব্যাংক আমানত এই মামলায় সংযুক্ত করেছে।
স্টিং এবং অভিযোগ
ইডি অভিযোগ করেছে যে, 'এই ট্রাস্ট তার পাওয়া ৭১.৫০ লক্ষ টাকার অনুদান ভারত সরকারের অনুমোদিত কোনও প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করেনি। বরং ট্রাস্টের প্রতিনিধি প্রয়াত প্রত্যুষ শুক্লা, ট্রাস্ট সেক্রেটারি মহম্মদ অতর এবং প্রকল্পের ডিরেক্টর বা পরিচালক লুইস খুরশিদ তা ট্রাস্টের স্বার্থে এবং তাঁদের ব্যক্তিগত লাভের জন্য ব্যবহার করেছেন।' ২০১২ সালে সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রকের একজন আধিকারিককে একটি টিভি স্টিং অপারেশনে বলতে শোনা যায় যে, ট্রাস্টের কাজকর্মে বেনিয়ম আছে। কিন্তু, তারপরও ওই ট্রাস্টকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়নি। কারণ তা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তি দ্বারা পরিচালিত। পরবর্তীকালে জানা যায়, ২০১২ সালের জানুয়ারিতে মায়াবতীর নেতৃত্বাধীন তৎকালীন উত্তরপ্রদেশ সরকার কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের অনুরোধে ট্রাস্টের কার্যকারিতা নিয়ে একটি তদন্ত শুরু করেছিল। সেই সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন সলমন খুরশিদ।
আরও পড়ুন- ২৫ বছর পর! অবশেষে সুপ্রিম হস্তক্ষেপ, রয়্যালটি নিয়ে টানাপোড়েন অবসানের মুখে
তহবিল 'ছিনতাই হয়েছে'
সামাজিক বিচার মন্ত্রক ট্রাস্টকে ২০১০-১১ সালে ৭১.৫০ লক্ষ টাকা এবং ২০১১-১২ সালে ৬৮ লক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে অনুদান পাওয়ার জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তাদের জাল স্বাক্ষর এবং সিল ব্যবহার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। ২০১০-১১ সালে এই অনুদানটি দেওয়া হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের ১৭টি জেলায় শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের হুইলচেয়ার, ট্রাইসাইকেল এবং শ্রবণযন্ত্র বিতরণের জন্য। ট্রাস্ট উত্তরপ্রদেশের এক ডজনেরও বেশি জেলায় প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য শিবিরের আয়োজন করেছে বলে দাবি করেছিল। ২০১০ সালের মে মাসে, লুইস খুরশিদ, যিনি সেই সময় ট্রাস্টের পরিচালক ছিলেন, তিনি সই করে জানিয়েছিলেন যে ওই সরঞ্জামগুলো সঠিক প্রাপকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু, বাস্তবে এই ধরনের কোনও শিবিরের আয়োজনই হয়নি বলেই অভিযোগ উঠেছে।