Advertisment

Explained: সিবিআইয়ের চেয়েও কঠোর ইডির আইন, টাডা-পোটার মতই মানবাধিকার হরণকারী, বিতর্কিত!

টাডা এবং পোটার মত এই ধরনের আইনের জেরে দীর্ঘদিনের প্রচলিত আইনগুলোও গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। শুধু তাই নয়, এই আইনের জামিনের বিধানও খুব কঠোর।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Ed

এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) ২০১৪ থেকে আট বছরে, ১২১ জন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে তদন্ত করেছে। ১১৫ জন বিরোধী নেতাকে গ্রেফতার করেছে, জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, এফআইআর দায়ের করেছে। তার আগে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের ১০ বছরে (২০০৪-১৪) বিরোধী দলের ১৪ জন-সহ ২৬ জন নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত করেছিল ইডি। নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ইডি অন্যান্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তুলনায় অনেক বেশি তত্পরতার সঙ্গে দুর্নীতি ইস্যুতে রাজনীতিবিদদের পিছনে হাত ধুয়ে পড়ে রয়েছে।

Advertisment

তছরুপ আইন ও ইডি
ইডির বর্তমান পরিচালক সঞ্জয় কুমার মিশ্র। তিনি ২০১৮ থেকে দায়িত্বে। তার আগে ছিলেন কর্নাল সিং। তিনি ২০১৫ থেকে দায়িত্বে ছিলেন। এই দুই কর্তার সময় প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট বা তছরুপ প্রতিরোধ আইন পিএমএলএ অনেক পোক্ত হয়েছে। যাতে এই তদন্তকারী সংস্থার ক্ষমতা বেড়েছে। আর তাদের তদন্তেও সুবিধা হচ্ছে। এই আইনের জোরে রাজ্য সরকারের সম্মতি ছাড়াই কোনও অপরাধের তদন্ত করার অনুমতি পেয়েছে ইডি।

এই আইনের বলে, রাজ্য পুলিশ বাহিনীর দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে রাজনীতিবিদ বা কর্মীদের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপ মামলা দায়ের করতে সক্ষম ইডি। কিন্তু, রাজ্য সরকার অনুরোধ না-করা পর্যন্ত বা আদালত এবং কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশন আদেশ না-দিলে, সিবিআই নিজে থেকে তদন্ত করতে পারে না।

আরও পড়ুন- ফের ভয়ংকর যুদ্ধের উত্তাপ! রুশ সেনাকে এগিয়ে যেতে নির্দেশ পুতিনের

বিতর্কিত বিধান
সাক্ষ্য হিসাবে অভিযুক্তদের দেওয়া বিবৃতির গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে পিএমএলএর বিধান অত্যন্ত কঠোর। এর জামিনের বিধানগুলোও বিতর্কিত। এটি দেশের একমাত্র আইন, যেখানে তদন্তকারী সংস্থার সামনে রেকর্ড করা একটি বিবৃতি আদালতে প্রমাণ হিসাবে গ্রহণযোগ্য। টাডা এবং পোটার মত এই ধরনের আইনের জেরে দীর্ঘদিনের প্রচলিত আইনগুলোও গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। শুধু তাই নয়, এই আইনের
জামিনের বিধানও খুব কঠোর।

এই বিধান অতীতে সুপ্রিম কোর্ট বাতিল করেছিল। কারণ এটি জামিনের পর্যায়েই বিচারের আভাস দিচ্ছিল। কিন্তু, চলতি বছরের ২৭ জুলাই বিচারপতি এএম খানউইলকরের নেতৃত্বাধীন একটি বৃহত্তর বেঞ্চ অর্থ পাচারের মামলায় কঠোর জামিনের শর্ত-সহ পিএমএলএর সমস্ত বিধানের বৈধতা বহাল রেখেছে। এর ফলে দুই থেকে সাত বছরের সাজার অপরাধে অভিযুক্তদের জামিন ছাড়াই দীর্ঘ সময়ের জন্য কারাগারে রাখা যাচ্ছে। যা আক্ষরিক অর্থে গোটা প্রক্রিয়াটিকে শাস্তিতে পরিণত করেছে।

Read full story in English

ED Arrest Supreme Court of India
Advertisment