Election Commission’s announcement of Lok Sabha polls: ভারতের লোকসভা নির্বাচন, বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অনুশীলন। ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত ৭টি ধাপে ভোটগ্রহণ হবে। ভোটগণনা ৪ জুন। নির্বাচন কমিশন (ইসি) শনিবার (১৬ মার্চ) নয়াদিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠকে আসন্ন লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে।
- দেশের মোট ভোটার সংখ্যা ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি)।
- আসন্ন লোকসভা নির্বাচন প্রায় ১০.৫ লক্ষ ভোটকেন্দ্রে আয়োজিত হবে।
- শনিবার কমিশনের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট (এমসিসি) অবিলম্বে কার্যকর হয়েছে।
০১) কবে লোকসভা নির্বাচন?
ভারতের বিশাল আকার আর তার নির্বাচনী ব্যাপকতার প্রেক্ষিতে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে একাধিক ধাপে ভোট করা হবে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের বিস্তারিত দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে। ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত সাতটি ধাপে নির্বাচন আয়োজিত হবে। ভোটগণনা ৪ জুন।
০২) এই নির্বাচনের সময় কতজন ভোট দেওয়ার যোগ্য?
নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা অনুযায়ী, দেশের মোট ভোটার সংখ্যা ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি)। যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১২.৫ শতাংশ। ২০১৯ সালের নির্বাচনে ভোটদাতার সংখ্যা ছিল প্রায় ৯৭ কোটি ( ৯৬.৮ কোটি)। এর মধ্যে প্রায় ৪৯.৭ কোটি পুরুষ এবং ৪৭.১ কোটি মহিলা। প্রথমবারের ভোটার সংখ্যা প্রায় ১.৮ কোটি। ২০১৪ সালে নথিবদ্ধ ভোটারের সংখ্যা ছিল ৮১.৪৫ কোটি।
০৩) ভোটার হিসেবে নথিবদ্ধ হওয়ার প্রক্রিয়া কী?
যদি ভোট দেওয়ার যোগ্য কোনও ব্যক্তি (১৮+ বছর বয়সি ভারতীয় নাগরিক) ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়ে থাকেন, বা কোনও কারণে তাঁর নাম মুছে ফেলা হয়, তাহলে তিনি নিজের নামটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আবেদন করতে পারেন। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট, (https://voters.eci.gov.in/)-এ কীভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করতে হবে, নাম অন্তর্ভুক্ত আছে কি না- তা কীভাবে পরীক্ষা করা যাবে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ আছে। তবে, কমিশনের আইন মনোনয়ন দাখিলের শেষ তারিখে বিকাল ৩টার পরে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির অনুমতি দেয় না।
০৪) একজনের ভোট দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নথিগুলো কী কী?
২০১৯ সালে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে, ৯৯ শতাংশেরও বেশি যোগ্য ভোটারকে তাদের ইলেক্টর ফটো আইডেন্টিটি কার্ড (EPIC) দেওয়া হয়েছে। যা কমিশনের দেওয়া প্রাথমিক পরিচয়পত্র। যদি, এপিক না থাকে, তবে পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, প্যান কার্ড, MGNREGA জব কার্ড, আধার কার্ড-সহ অন্যান্য অফিসিয়াল সচিত্র পরিচয়পত্র নথি হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
০৫) আপনি কোথায় আপনার ভোট দিতে পারেন?
১০০ কোটি ভোটারের জন্য সারাদেশে হাজার হাজার ভোটকেন্দ্র স্থাপন করবে নির্বাচন কমিশন। কমিশন চেষ্টা করবে, ভোটকেন্দ্রগুলো এমন জায়গায় তৈরি করতে, যাতে কোনও ভোটারকে ভোট দিতে ২ কিলোমিটারের বেশি যেতে না হয়। আসন্ন লোকসভা নির্বাচন প্রায় ১০.৫ লক্ষ ভোটকেন্দ্রে আয়োজিত হবে। পোলিং অফিসার থাকবেন ১.৫ কোটি। নিজের বুথ সম্পর্কে জানতে হলে, দেখতে হবে ইসির ওয়েবসাইট (https://electoralsearch.eci.gov.in/pollingstation)।
০৬) নির্বাচনে কয়টি ইভিএম লাগবে?
আসন্ন নির্বাচন পরিচালনার জন্য ইসির প্রায় ৫৫ লক্ষ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এবং ভোটার ভেরিফাইয়েবল পেপার অডিট ট্রেল (ভিভিপিএটি) মেশিনের প্রয়োজন হবে। ২০১৯ সালে, নির্বাচন কমিশন ২৩.৩ লক্ষ ব্যালট ইউনিট (যেখানে ভোট দেওয়া হয়), ১৬.৩৫ লক্ষ কন্ট্রোল ইউনিট (যেখানে ট্যালিগুলো সংরক্ষণ করা হয়) এবং ১৭.৪ লক্ষ ভিভিপ্যাটে মেশিনের আবেদন জানিয়েছিল। ইভিএম কীভাবে কাজ করে, কীভাবে ইভিএম ব্যবহার করতে হয়, সে ব্যাপারেও বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে ইসি। বিস্তারিত জানতে দেখুন, ইসির ওয়েবসাইট, (https://www.eci.gov.in/evm-vvpat)।
আরও পড়ুন- জারি হয়েছে আদর্শ আচরণবিধি, জেনে নিন কী করতে পারবেন, কোনটা পারবেন না
০৭) কমিশনের ঘোষণার সঙ্গে কী বদল ঘটল?
শনিবার কমিশনের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট (এমসিসি) অবিলম্বে কার্যকর হয়েছে। এমসিসি হল নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থীদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য জারি করা নির্দেশিকাগুলির একটি গুচ্ছ। এটি বক্তৃতা, প্রচার, নির্বাচনী ইশতেহারের বিষয়বস্তু, ভোটকেন্দ্রে আচরণের মত বিষয়গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে। লক্ষ্য, দেশে অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন।