এক নতুন বিজ্ঞপ্তিতে কর্মচারী প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (ইপিএফও) জানিয়েছে, তার বিভিন্ন অফিসের মাধ্যমে কর্মচারীরা উচ্চতর পেনশন সংক্রান্ত বিকল্প বেছে নিতে পারবেন। যাঁরা বিকল্প বেছে নেবেন, সেই সব গ্রাহকদের কত টাকা বকেয়া, তা গণনারও নির্দেশ দিয়েছে। প্রয়োজনে প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ পেনশন তহবিলে ডাইভার্ট করা হতে পারে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সর্বশেষ ইপিএফও বিজ্ঞপ্তি কী জানিয়েছে?
বকেয়া অর্থ গণনা করা হবে ১৯৯৫ সালের ১৬ নভেম্বর থেকে। সেই সময় থেকে নিয়োগকর্তা যে ৮.৩৩% হারে অবদান রাখছে, তার ভিত্তিতে হবে গণনা। অথবা বেতন বা মজুরি সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার তারিখ থেকে গণনা হবে। এক্ষেত্রে প্রতিমাসে ১৫,০০০ টাকার বেশি বেতনে নিয়োগকর্তার ভাগের ১.১৬% অবদানের জন্য বকেয়া গণনা করা হবে।
স্থানীয় কার্যালয়গুলো দেখবে
স্থানীয় কার্যালয়গুলো পরীক্ষা করে দেখে নেবে যে গণনা করা বকেয়াগুলো নির্দিষ্ট মাসগুলোয় ঠিকমতো কর্মচারীদের পেনশন স্কিম (ইপিএস) অ্যাকাউন্টে প্রেরণ করা হয়েছে বা প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে রয়েছে কি না। এক্ষেত্রে যদি বকেয়াগুলো ইপিএসে জমা দেওয়া না-হয়, তবে উচ্চ মজুরিতে অবদানের অর্থ ইপিএফ থেকে ইপিএসে নেওয়া হবে। তার, কারণ এক্ষেত্রে ধরে নেওয়া হবে যে প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টে অর্থের ভারসাম্য ঠিক নেই।
আরও পড়ুন- কেন্দ্র না রাজ্য, দিল্লি কার হাতে? কী জানাল সুপ্রিম কোর্ট?
সুদের হিসেব
পাওনাগুলোতে সুদের হিসেব গণনা করে ধার্য করা হবে। এই ধার্য হবে, তাদের পিএফ জমে থাকা সদস্যদের দ্বারা অর্জিত সুদের ভিত্তিতে। এমনটাই জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। গ্রাহকরা যদি উচ্চতর পেনশনকে বেছে নেন, তবে প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে পেনশন তহবিলে অর্থ ডাইভারশনের মাধ্যমে অ্যাকাউন্টিং অ্যাডজাস্টমেন্টগুলো করা হবে। ফিল্ড অফিসাররা সর্বশেষ নিয়োগকর্তার মাধ্যমে পেনশনারকে অবহিত করবেন যে বকেয়া অর্থ তাঁরা পেয়েছেন। আর, তারপরে প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে পেনশন তহবিলের জন্য অর্থ সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে পেনশনারের সম্মতি গ্রহণ করা হবে। ইপিএফও জানিয়েছে, পেনশনের গণনার পদ্ধতিটি পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাবে।