একসময় যা ছিল ছোট ব্যবসা। সেই আদানি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড (এইএল) আধডজন সংস্থাকে অধিগ্রহণের মাধ্যমে আজ মহীরুহ। স্টক এক্সচেঞ্জে এইএলের নেতৃত্বে ছত্রছায়ায় থাকা অন্যান্য সংস্থাগুলোর দৌড় বাজারের গতি বৃদ্ধি করেছে। বাজারে এই গোষ্ঠীর মূলধনকে একনম্বর স্থানে নিয়ে গিয়েছে। গৌতম আদানি হয়ে উঠেছেন বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তি।
শেয়ারের দামের পতন
তবে, এসব হিন্ডেনবার্গ গবেষণা সংস্থার প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার আগের ঘটনা। কারণ, ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর গত কয়েকদিন আদানিদের সংস্থার শেয়ারের দামের পতন হচ্ছিল। যদিও সোমবার থেকে বাজারে আদানির শেয়ারের দাম আবার কিছুটা হলেও থিতু হয়েছে।
২৫ জানুয়ারি থেকে এইএল স্টক
আদানি এন্টারপ্রাইজ ২০,০০০ কোটি টাকা সংগ্রহের জন্য ২৫ জানুয়ারি অ্যাঙ্কর বিনিয়োগকারীদের সাবস্ক্রিপশনের কথা মাথায় রেখে ফলো-অন-পাবলিক অফার (এফপিও) বাজারে ছেড়েছিল। তারই মধ্যে ইউএস-ভিত্তিক হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ সংস্থা আদানি গোষ্ঠীর ওপর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এই প্রতিবেদনে হিন্ডেনবার্গ আদানি গ্রুপকে শেয়ার বাজারে জালিয়াতি এবং হিসেবে জালিয়াতির দায়ে অভিযুক্ত করে।
ইচ্ছাকৃত কুৎসা
জবাবে আদানি গোষ্ঠী অভিযোগ করে যে, এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে কুৎসা করা হয়েছে। এই অভিযোগে তারা হিন্ডেনবার্গের বিরুদ্ধে মামলার পরিকল্পনা করে। কিন্তু, ততক্ষণে যা হওয়ায় হয়ে গিয়েছিল। বাজারে সেই কুৎসা ব্যাপক প্রভাব ফেলে। আদানি গোষ্ঠীর সংস্থাগুলোর শেয়ারের দাম কমে যায়।
আর্থিক লোকসান
আদানি গোষ্ঠী শেয়ার বাজারে ৯.১ লক্ষ কোটি টাকা লোকসান করে। এই অর্থ, শেয়ার বাজারে আদানিদের মোট মূলধনের ৪৭.৪ শতাংশ। শেয়ার বাজারে আদানি গ্রুপের মূলধন ২৪ জানুয়ারি ছিল ১৯.১৮ লক্ষ কোটি টাকা। সেটাই ৩ ফেব্রুয়ারি ১০.০৭ লক্ষ কোটি টাকায় নেমে আসে।
আরও পড়ুন- দুই দশকে বিশ্বের ভয়াবহ ভূমিকম্পগুলো
মূল্য হ্রাস
গোষ্ঠীর মূল সংস্থা আদানি এন্টারপ্রাইজেসের শেয়ারের দাম বুধ ও বৃহস্পতিবার সবচেয়ে কমে যায়। পরপর সাত দিনের ব্যবসায় এর শেয়ারের মূল্য ৫৪ শতাংশ কমে যায়। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে যায় যে সম্পূর্ণ সাবস্ক্রিপশন পাওয়ার পরও এইএলকে এফপিও বাতিল করতে হয়। বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিতে হয় আদানি গোষ্ঠীকে।
সম্পত্তির মূল্যের পতন
শেয়ারের দামের পতনের ফলে গৌতম আদানির মোট সম্পত্তির মূল্যের পতন ঘটে। বিশ্বে শিল্পপতিদের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয় স্থানে। সেখান থেকে তিনি নেমে যান ১৭ নম্বরে। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ এসে ঠেকে ৬১.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
Read full story in English