আদানি এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড (এইএল)। বর্তমানে এই নামকে ঘিরে গোটা বিশ্বে ব্যাপক হইচই। এই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা গৌতম আদানি। একটা সময় এই কোম্পানি ছিল এক ছোট ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। ক্রমশ আধডজনেরও বেশি ছোট কোম্পানিকে কিনে নিয়ে বেড়ে ওঠে এই সংস্থা। শেয়ার বাজারে এর লাগাতার দরবৃদ্ধি সংস্থাটিকে বিশ্বের অন্যতম সেরা শিল্পগোষ্ঠীতে পরিণত করে। গৌতম আদানি হয়ে ওঠেন বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তি। হিন্ডেনবার্গ গবেষণা সংস্থার প্রতিবেদন আদানি গোষ্ঠীর সেই সোনালি অধ্যায়ে কালি ছিটিয়ে দিয়েছে। শেয়ার বাজারে আদানির সংস্থাগুলোর দামের ব্যাপক পতন ঘটেছে।
গত ২৫ জানুয়ারি আদানি গোষ্ঠী (ফলো অন পাবলিক) এফপিও বাজারে ছেড়েছিল। লক্ষ্য ছিল, বাজার থেকে ২০,০০০ কোটি টাকা তোলা। হিন্ডেনবার্গের অভিযোগ, আদানি গোষ্ঠী শেয়ার বেচাকেনায় জালিয়াতি করে। হিসেবপত্রেও ব্যাপক জালিয়াতি করেছে। যদিও আদানি গোষ্ঠী হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টকে প্রতিবেদনের কড়া নিন্দা করেছে। ইচ্ছাকৃতভাবে দুর্নাম করার অভিযোগ করেছে। হিন্ডেনবার্গের বিরুদ্ধে মামলার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে।
আদানিরা কিন্তু, তাতেও নিজেদের সংস্থার শেয়ারের দামের পতন রুখতে পারেনি। তাদের গ্রুপ কোম্পানির ন'টি সংস্থার শেয়ারের হাল খুবই খারাপ। মাত্র গত সাত দিনে তারা শেয়ার বাজারে ৯.১ লক্ষ কোটি টাকা মূলধন হারিয়েছে। যা আসলে তাদের মোট বাজার মূলধনের ৪৭.৪ শতাংশ। শেয়ার বাজারে আদানি গ্রুপের মূলধন ১৯.১৮ লক্ষ কোটি টাকা ছিল ২৪ জানুয়ারি। সেই মূলধন ৩ ফেব্রুয়ারি এসে হয়েছে, ১০.০৭ লক্ষ কোটি টাকা। তার মধ্যে মূল সংস্থা আদানি এন্টারপ্রাইজেস বুধ-বৃহস্পতিবার ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। গত সাত দিনে শেয়ার বাজারে এর মূলধন ৫৪ শতাংশ কমেছে।
আরও পড়ুন- ১৪ কোটি বছরের পুরনো পাথর দিয়েই হবে রামলালার মূর্তি, প্রাচীন শালগ্রাম শিলার কী এমন মাহাত্ম্য?
এমনকী, বাজারে নিজেদের সুনাম বজায় রাখতে আদানিদের এফপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থও ফেরত দিতে হয়েছে। শুধু তাই নয়, বুধবার বাজারে তাদের শেয়ারের দাম ২৫ শতাংশ কমে যাওয়ার পর আদানিরা শেয়ার বিক্রি বন্ধ রাখেন। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে গৌতম আদানি বলেছেন, তিনি বিনিয়োগকারীদের যাবতীয় অর্থ ফেরত দেবেন। বিনিয়োগকারীরা যাতে কোনওভাবেই বঞ্চিত না-হয়, সেটা তিনি দেখবেন।
Read full story in English