ত্রিশূরে ৩০ জুলাই মাঙ্কিপক্সে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। এটাই এই অসুখে এ দেশে প্রথম মৃত্যু। সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে তিনি কেরলে এসেছিলেন ক’দিন আগে। বাইরেই তিনি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হন। কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানিয়েছেন। এছাড়াও আরও তিন জন সে রাজ্যে আক্রান্ত মাঙ্কিপক্সে। যাঁরা আগেই আক্রান্ত হয়েছেন। এক জনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি দুজনের অবস্থা, রবিবারের খবর অনুযায়ী, স্থিতিশীল। মাঙ্কিপক্সে একজন দিল্লিতেও আক্রান্ত। দিল্লির এই কেসটি আলাদা, কারণ ওই ব্যক্তির বিদেশ ভ্রমণের কোনও ইতিহাস নেই। আর কেরলের প্রত্যেক আক্রান্তই, মৃত সহ, মধ্য প্রাচ্য থেকে ফিরেছিলেন।
কেরলে মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে
মাত্র ২২ বছর বয়স। ত্রিশূরে পুন্নিয়ুরের এই যুবকের মৃত্যু হয়েছে ত্রিশূরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। ইউএই থেকে ফেরার দিন কয়েক পর। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির আলাপ্পুজায় পাঠানো হয় ওই রোগীর নমুনা। কেরলের অর্থমন্ত্রী বলেছেন, বিদেশে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হলেও, তাঁর পরিবারের তরফে সে কথা ত্রিশূরের হাসপাতালে জানানো হয়েছে শনিবার। কেরল স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, ওই যুবক কেরলে এসেছিলেন ২২ জুলাই। এবং হাসপাতালে গিয়েছেন ২৬ জুলাই। তাঁর জ্বর হওয়ার পরে। সেই হাসপাতাল থেকে আর একটি হাসপাতালে তাঁকে পাঠানো হয়, লাইভ সাপোর্টে সেখানে রাখা হয়, এবং শেষ রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
তা হলে কি মাঙ্কিপক্স কিলার ডিজিজ?
না, মোটেই তা নয়। যে ব্যক্তি মাঙ্কিপক্সে মারা গিয়েছেন বলে বলা হচ্ছে, তার মানে এই নয় যে তিনি মাঙ্কিপক্সের জীবাণুতেই মারা গিয়েছেন। অন্য কোনও কারণে তাঁর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। যা বোঝা যাবে মৃত্যুর কারণ বিশ্লেষণের পর, ফলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, উচ্চ স্তরের তদন্ত হবে এই মৃত্যু নিয়ে।
আরও পড়ুন Explained: মাঙ্কিপক্স কি যৌনাচারে ছড়ায়, কেন WHO এই অসুখে ভয়ে কাঁটা?
কত আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে মাঙ্কিপক্সে?
৭৮টি দেশে ২০ হাজার জন আক্রান্ত। আফ্রিকায় বেশ কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে। যেখানে অনেক আগে থেকেই মাঙ্কিপক্স হয়ে থাকে। ৭৫ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে আফ্রিকা থেকে। আফ্রিকার বাইরে মৃত্যুর সংখ্যা মাত্র তিন। তবে কেরলের মৃত্যু বাদ দিয়ে। এই শুক্রবার প্রথম মাঙ্কিপক্স সম্পর্কিত মৃত্যু ঘটনা ঘটেছে ব্রাজিলে। শুক্রবারই স্পেনের ভেলেন্সিয়া অঞ্চলে এই অসুখে একজনের মৃত্যু হয়। শনিবার স্পেনেরই আন্দালুসিয়ায় আর এক জনের মৃত্যু হয়েছে। ইউরোপের স্পেনে এই অসুখে প্রথম মৃত্যু এর ফলে।
মাঙ্কিপক্সে, এ থেকে বুঝতেই পারছেন, মৃতের হার খুবই কম। বলা হচ্ছে এই সংখ্যাটা এক শতাংশের চেয়েও নীচে। ফলে মাঙ্কিপক্সে মৃত্যুর খবর পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে উঠবেন না যেন। কিন্তু এমন কিছু হলে, কোনও গাফিলতি করবেন না। মনে রাখবেন ছোটখাট পেটের সমস্যায় গাফিলতিতেও মৃত্যু হতে পারে-- তা হলে মাঙ্কিপক্সে কেন হবে না?