বিজেপি শিবিরের অনেকেই বোধ হয় এর জন্য তৈরি ছিলেন না। দলের নয়া সংসদীয় কমিটি তাঁদের অনেককেই জোর ধাক্কা দিয়েছে। কারণ কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, যিনি আরএসএসের অতি ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত নিতিন গড়করিকে। বাদ দেওয়া হয়েছে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকেও। মোদী-শাহের সঙ্গে এঁদের সমীকরণের সুর অনেক দিন ধরেই কাটা, তারই ফল এই ভাবে সংসদীয় কমিটি থেকে অর্ধচন্দ্র, বলছেন অনেকেই। ৬ জন নতুন সদস্য এসেছেন বিজেপির এই সাংগঠনিক শীর্ষ কমিটিতে।
এঁদের মধ্যে রয়েছেন কর্নাটকের প্রবীণ লিঙ্গায়েত নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পা। ইকবাল সিং লালপুরা, যিনি হলেন এই কমিটি-ভুক্ত প্রথম শিখ নেতা। এছাড়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল, লোকসভার প্রাক্তন সাংসদ সত্যনারায়ণ জাতিয়া, বিজেপির জাতীয় ওবিসি মোর্চা প্রেসিডেন্ট কে লক্ষ্মণ এবং জাতীয় সম্পাদক সুধা যাদব। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও এই বোর্ডের সদস্য। বিজেপি এই বদলের পর বলছে, সংসদীয় কমিটিতে এখন সমাজের নানা স্তরীয় প্রতিনিধির সংখ্যা আরও বাড়ল। আসুন ঝলকে এই কমিটির কাজকর্ম সম্পর্কে জেনে নিই।
আরও পড়ুন Explained:মহারাষ্ট্রের টেট দুর্নীতিতে জড়িয়েছে মন্ত্রী-নাম, দুর্নীতির কাহিনিটা জানেন কি?
পাঁচটি কাজ এই পার্লামেন্টারি বোর্ডের
১. এটি দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ কমিটি। বিজেপি সভাপতি এর সদস্যদের নিয়োগ করেন। এই কমিটিতে সর্বাধিক ১১ জন সদস্য থাকেন।
২. এই কমিটি সংসদীয় এবং আইনের বিষয়গুলির তত্ত্বাবধান করে। সংগঠনের ইউনিটগুলির কাজকর্মে পথ দেখায়।
৩. নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মুখ কে হবেন, তা স্থির করে এই কমিটি, অথবা কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন ভোটে জিতলে, সেইটি স্থির করে।
৪. কারা নির্বাচনে টিকিট পাবেন, সে কাজেও এই কমিটির সদস্যদের বড় ভূমিকা থাকে, কারণ এর সদস্যরা বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটিরও সদস্য হন।
৫. এই কমিটির ক্ষমতা রয়েছে বিজেপির সংবিধান বদলানোরও।