যাঁদের বেতন ১৫ হাজারের বেশি, তাঁরা এবার পেনশনের আওতায় পড়তে চলেছেন। সেই ভাবনার সলতে পাকানোটা মোটামুটি শেষ হয়ে গিয়েছে। এবার সিলমোহরের অপেক্ষা। এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অরগানাইজেশন বা ইপিএফও তাদের নয়া পেনশন প্রকল্পের পথে বড় পদক্ষেপ নিতে পারে আগামী মাসে। তাদের ১১ ও ১২ মার্চ গুয়াহাটির বৈঠকে। বিষয়টি নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। বাড়তি বেতনে পেনশন মিললে, বহু মানুষ সেই সুবিধা পেয়ে যাবেন। আসুন, পেনশনের যে নয়া অধ্যায়টি রচিত হতে চলেছে, সে সম্পর্কে একটু বিস্তারিত জেনে নিই।
কী পরিকল্পনা ইপিএফও-র?
সংগঠিত ক্ষেত্রের যাঁরা ১৫ হাজার টাকার উপর মাসিক বেতন পেয়ে থাকেন, যাঁরা বাধ্যতামূলক ভাবে এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিম (EPS-95) ১৯৯৫-এর আওতায় পড়েন না, তাঁদের জন্য এই পেনশন প্রকল্প। এখন সংগঠিত ক্ষেত্রে যাঁদের মূল বেতন প্রতি মাসে (মহার্ঘভাতা সহ) ১৫ হাজার টাকার মধ্যে তাঁরা EPS-95-এর অধীনে রয়েছেন। মানে তাঁরা পেনশন পেয়ে থাকেন। আগামী মাসের গুয়াহাটির বৈঠকে ইপিএফও-র সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ বা সিবিটি এই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেবে। রিপোর্টে কী আছে, তা অনেকটাই সামনে এসে গিয়েছে, ফলে প্রকাশিতব্য রিপোর্টের বিশ্লেষণ চলছে জোরকদমে।
প্রস্তাব কী?
জানা যাচ্ছে, ইপিএফও-র আওতাধীন যাঁরা ১৫ হাজার টাকার বেশি বেতন পান ( মহার্ঘভাতা সহ বেসিক) তাঁদের বাধ্যতামূলক ভাবে দিতে হবে ১৫ হাজার টাকার ৮.৩৩ শতাংশ, এবং সেই অনুযায়ী তাঁরা পেনশন পাবেন। বেশি কন্ট্রিবিউশনে বেশি পেনশন, এই দাবি অনেক দিন হল উঠেছে। ১৫ হাজার টাকার উপরের বেতনের ক্ষেত্রে পেনশন দেওয়ার পরিকল্পনায় ভিত্তি সেই দাবি।
এখানে বলে নিতে হবে, এর আগেও পেনশনে বেতনের ঊর্ধ্বসীমা বেড়েছে। ২০১৪-র ১ সেপ্টেম্বর পেনশনের ক্ষেত্রে ৬,৫০০ থেকে মূল বেতন বাড়িয়ে ১৫ হাজার করে কেন্দ্র। মানে, ১৫ হাজারের মধ্যে মূল বেতন থাকতে হবে চাকরি শুরু মানে জয়েনিংয়ের সময়ে। বৃদ্ধির কারণটা সহজ, মুদ্রাস্ফীতি।
আপাতত, নয়া পেনশন প্রকল্পের কাউন্টডাউন চলছে। বহু মানুষ চাকরি-শেষে অর্থকরী প্রাপ্তির আশায় মশগুল।