/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/02/Russia.jpg)
প্রতীকী ছবি।
এবার রাশিয়াকে আর্থিকভাবে আরও দুর্গতিতে ফেলতে সুইফট থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় জোট। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনের প্রধান রাস্তা এই সুইফট। এর ফলে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আন্তর্জাতিকস্তরে আর্থিক লেনদেন বন্ধ হয়ে যাবে। যার প্রভাব পড়বে মস্কোর বৈদেশিক বাণিজ্যে।
এই যৌথ নিষেধাজ্ঞার ফলে আন্তর্জাতিক অর্থব্যবস্থা থেকে রাশিয়া আরও বেশি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। ইউক্রেনে হামলার প্রেক্ষিতেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
এসডব্লিউআইএফটি বা সুইফট-এর পুরো নাম দি সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাংক ফিনান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশন। এটি একটি বেলজিয়ামের সমবায় সংস্থা। বিশ্বজুড়ে ব্যাংকগুলোর মধ্যে আর্থিক লেনদেন এই সংস্থার মাধ্যমেই হয়। রাশিয়ার আগে ইরানকে সুইফটের আওতা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/02/us_embassy_1.jpg)
তার ফলে নিজেদের বৈদেশিক বাণিজ্যের এক তৃতীয়াংশই হারাতে হয়েছে ইরানকে। রাশিয়াও তাদের গ্যাস এবং খনিজ তেলের রফতানির মাধ্যম হিসেবে এই সুইফকেই ব্যবহার করে থাকে। এর ফলে সুইফট থেকে বাদ পড়ায় রাশিয়ার গ্যাস এবং তেল রফতানিও ধাক্কা খাবে।
তবে শুধু আর্থিক ব্যবস্থাই না। সুইফট থেকে বাদ পড়ায় রাশিয়ার ইন্টারনেট ব্যবস্থাও কার্যত বিকল হয়ে পড়বে। তবে, রাশিয়ার পক্ষে আশার কথা একটাই। তাদের মাত্র কয়েকটা ব্যাংককে আপাতত এই আর্থিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। হামলা বাড়ালে গোটা রাশিয়াতেই এই আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তেমনটা হলে, প্রবল সমস্যায় পড়তে হবে পুতিনের দেশকে।
আরও পড়ুন- সীমান্তের কুস্তি থেকে রাষ্ট্রসংঘে একই সুর, ভারত-চিনের অবস্থানটাই বদলে দিল ইউক্রেন
আর্থিক লেনদেনের পাশাপাশি, বিশ্বের ২০০ দেশের ১১ হা্জার ব্যাংকে তথ্য যাচাইয়ের কাজও করে থাকে সুইফট। তার মধ্যে বেশিরভাগই সেই সব দেশের কেন্দ্রীয় বা প্রধান সরকারি ব্যাংক। আমেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দাবি, সুইফট থেকে বাদ পড়লে রাশিয়ার ব্যাংকগুলোর আর্থিক লেনদেন টেলিফোন এবং ফ্যাক্স মেশিনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। বর্তমান বিশ্ব থেকে কার্যত কয়েকগুণ পিছিয়ে যাবে রাশিয়ার আর্থিক ব্যবস্থাপনা।
Read story in English